এরমির যাত্রা শুরু হলো কীভাবে?
২০২০ সালের শেষের দিকে, যখন করোনা মহামারি চলছে, তখন যাত্রা শুরু হয় আমার ব্র্যান্ড এরমির। তখন মনে হয়েছিল, পোশাকের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি নতুনভাবে উপস্থাপনের সময় এসেছে।
প্রথম আলো :
এরমি অর্থ কী?
এরমি নামটা নিয়েছি আমার নাম এরমিলভ থেকে। আইসল্যান্ডিক ভাষায় এর অর্থ ‘হাতা’।
প্রথম আলো :
রাশিয়ায় আপনার সমসাময়িক তরুণ ডিজাইনাররা কেমন কাজ করছেন?
এর উত্তর দেওয়া কঠিন। কারণ, আমাদের মতো ডিজাইনাররা নিজের কাজের প্রতিই পুরোপুরি মনোযোগ দেন। যাহোক, নতুন সবারই আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি ও ধারণা আছে। অপ্রচলিত নানা রকম বিষয় নতুনরা আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করছেন।
রাশিয়ার ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি কোন দিকে যাচ্ছে বলে মনে করেন?
পুরো ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কথা বলা কঠিন। তবে এ মুহূর্তে আমাদের ফ্যাশনশিল্প সামগ্রিকভাবে একটি মজবুত ভিত্তির ওপর আছে।
প্রথম আলো :
বাংলাদেশি পোশাক সম্পর্কে আপনার কোনো ধারণা আছে?
খুব একটা নেই। তবে শাড়ির কথা অবশ্যই বলতে হয়। কারণ, এটি বেশ পরিচিত পোশাক। এ ছাড়া পুরুষদের পোশাক হিসেবে সারোং–জাতীয় একটা পোশাক আছে (লুঙ্গির কথা বলতে তিনি সারোং বুঝিয়েছেন)। আরেকটি পোশাক সম্পর্কে জানি, তবে এ মুহূর্তে নাম মনে করতে পারছি না। অনেকটা লম্বা শার্টের মতো।
(তিনি মূলত পাঞ্জাবির কথা বলছিলেন)
বাংলাদেশের খুবই ঐতিহ্যবাহী কাপড় মসলিন ও জামদানি। যার খ্যাতি বিশ্বজোড়া। এসব সম্পর্কে কি কোনো ধারণা আছে?
অবশ্যই, মসলিন তো চিনিই। মসলিন তৈরির যে প্রাচীন পদ্ধতি, সে সম্পর্কে ধারণা থাকলে এটাকে সত্যিকার ‘আর্টওয়ার্ক’ না বলে উপায় নেই। জামদানির সঙ্গে আমার পরিচয় শুধুই ঐতিহ্যবাহী পোশাকের মাধ্যমে।
প্রথম আলো :
মস্কো ফ্যাশন উইকে আপনি যেসব পোশাক উপস্থাপন করলেন, সেসব তৈরি করেছেন কোন ভাবনা থেকে?
এখানে আমি দেখাতে চেয়েছি মূলত কাপড়ের বিভিন্ন ধরনের ডাইং কৌশল। যার মাধ্যমে পোশাকগুলো ভিন্ন ভিন্ন রং ও শেডে ধরা দিতে পারে।
প্রথম আলো :
শেষ প্রশ্ন। সামনে আর কী কী কাজ করতে চান?
অনেক আইডিয়া মাথায় নিয়ে ঘুরছি। তবে এখনো কোনটা নিয়ে কাজ শুরু করব, সেটা ঠিক করিনি।