নানা দেশের ১২০ ডিজাইনারের পোশাক প্রদর্শিত হলো যে আয়োজনে

শেষ দিনের শেষ ফ্যাশন শো ছিল ইয়ানিস চামালিডি ব্র্যান্ডের

মস্কো ফ্যাশন উইক শেষ হলো ৭ মার্চ। বিভিন্ন দেশের ডিজাইনারদের সৃজনশীল কাজ যেমন সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শিত হয়েছে, তেমনি ব্যবসায়িক নানা দৃষ্টিভঙ্গিও উঠে এসেছে এই আয়োজনে।
রাশিয়া ছাড়াও ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ভারত, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, কোস্টারিকা, ইথিওপিয়া ও মিসর থেকে ১২০ জন ডিজাইনার তাঁদের কাজ উপস্থাপন করেন। স্থানীয় বাজারে বাইরের দেশের উপস্থিতি জোরদার করার জন্য এবং আন্তর্জাতিক ট্রেন্ড বোঝার জন্য মস্কো ফ্যাশন উইকে অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরেন আমন্ত্রিত ডিজাইনাররা। ভারতীয় ডিজাইনার নিতেশ বালচৌহান বলেন, ‘বেশ কয়েকটি পোশাক এর মধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে। আশা করছি আমার পোশাক তুলে ধরবে, এমন কিছু দোকানের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারব। এতে ভবিষ্যতে রাশিয়ায় আমার ব্র্যান্ডটি ধীরে হলেও ক্রেতাদের মনে জায়গা করে নিতে পারবে।’

কোস্টারিকার ডিজাইনার ইভান গারিতা জানান, রাশিয়ায় প্রথমবারের মতো কোনো ফ্যাশনের আয়োজনে অংশগ্রহণ করছেন তিনি। তাঁর মতে, এখানকার বাজার বেশ বড়। এ ধরনের বাজারে স্থান করে নিতে পারলে পরবর্তী সময়ে পোশাক নিয়ে অনেক বেশি নিরীক্ষাধর্মী কাজ করা যাবে। এটি তাঁর জন্য এ কারণেই বেশ বড় একটি সুযোগ। তবে গারিতা এখনো ক্রেতাদের কাছ থেকে তেমন সাড়া পাননি। রাশিয়ার ডিজাইনার লারিসা সুরোভায়াও প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছেন এখানে। তাঁর কাছে অংশগ্রহণটাই মূল। প্রথমবার দর্শকদের সামনে নিজের কাজ তুলে ধরার আনন্দই তিনি উপভোগ করতে চাইছেন।

প্রতিটি ফ্যাশন শো–তেই আসন ছিল পরিপূর্ণ


রাশিয়ার ডিজাইনারদের সৃজনশীল কাজ বিশ্বের সামনে তুলে ধরতেই মূলত আয়োজন করা হয়েছে মস্কো ফ্যাশন উইক। শেষ দিনে মিসর, ভারত, রাশিয়াসহ মোট ১০টি দেশের ব্র্যান্ড তুলে ধরে তাদের কাজ।

আরও পড়ুন

মানেশ প্রদর্শন হলে চলতি গ্রীষ্মের পোশাকের পাশাপাশি আসন্ন শীতের পোশাকের একঝলকও দেখা গেছে। রাশিয়ায় বছরের একটা বড় সময় আবহাওয়া যেহেতু ঠান্ডা থাকে, বাইরের দেশ থেকে আমন্ত্রিত ডিজাইনাররা পোশাকে মূলত সে বিষয়ই তুলে ধরেছেন।

রাশিয়ার ব্র্যান্ড মাস্টারপিস–এর দোকানে পোশাক সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হচ্ছে


সাত দিনের আয়োজনে ফ্যাশন শোয়ের বাইরেও ছিল নানা কর্মসূচি। প্রায় প্রতিদিনই রাশিয়ার নামকরা ডিজাইনারদের দোকান ঘুরে দেখার সুযোগ পেয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে ব্র্যান্ডের দৃষ্টিভঙ্গি ও কাজের ধরন সম্পর্কেও। বিটুবি রুমে পোশাক ছাড়াও ছিল জুতা, ব্যাগ, রোদচশমা, গয়না ইত্যাদি অনুষঙ্গ। দেখানো হয়েছে ফ্যাশনভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও। ডিজাইনাররা আশা করছেন, পরবর্তী মস্কো ফ্যাশন উইকেও অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন তাঁরা।