আঁটসাঁট নয়, জিনসে এখন চলছে ঢিলেঢালার যুগ
কখনো পোশাকে, আবার কখনো সাজে ঘুরেফিরে তার আদিতেই ফিরে যায় ফ্যাশন। তাই তো হঠাৎ করেই ট্রেন্ডি হয়ে ওঠে সত্তর দশকের ফ্যাশন। আবার আশি বা নব্বই দশকের ফ্যাশনও থাকে না পিছিয়ে। এ বছর দেখা গেছে ফ্যাশনের পালাবদল। বিশেষ করে মেয়েদের ডেনিম প্যান্টের স্টাইলে। ‘ওভারসাইজড’ ফ্যাশনের এই যুগে এখন চলছে ঢিলেঢালা জিনসের জয়জয়কার।
বছরের শুরুতেও আঁটসাঁট জিনসই ছিল জনপ্রিয়। কিন্তু বছরের মাঝামাঝি আসতেই জিনস প্যান্টের কাটিংয়ে রূপবদল হতে শুরু করে। ঢিলেঢালা ডেনিম প্যান্টের নানা আকার ফ্যাশন দুনিয়ায় বেশ সাড়া ফেলে। আর বছর শেষে এসে বলাই যায়, আঁটসাঁট জিনস এখন মৃতপ্রায় ফ্যাশন। ব্যাগি, স্ট্রেট কাট, বুটকাট লেগ, ফ্লেয়ার জিনস বেশ চলছে এখন। তারকাদেরও প্রায়ই দেখা যায় ঢিলেঢালা এসব জিনসে।
সেই সঙ্গে নতুন করে আবার এসেছে হাই ওয়েস্ট, ডিস্ট্রেস (ছেঁড়া-ফাটা) ও ফেডেড (রং ঝলসানো) স্টাইল। তবে সব ধরনের প্যান্টেই আছে নিচের দিকে বাড়তি ঘের। এ ছাড়া আরও আছে স্ট্রেট কাট জিনস বা সহজে বললে সোজা কাটিংয়ের ঢিলেঢালা প্যান্ট। আরও আছে বুটকাট লেগ, লাইট ফ্লেয়ার প্যান্ট।
বুটকাট জিনসের সঙ্গী ডেনিমের জ্যাকেট আর বাদামি বুট
সত্তর দশকে বুটকাট জিনস বেশ জনপ্রিয় ছিল। এ ধরনের প্যান্টের সঙ্গে গায়ে জড়িয়ে নিতে পারেন ডেনিমের জ্যাকেট। আর পায়ে রাখতে পারেন বাদামি বুট।
হাই ওয়েস্টের সঙ্গে শার্ট বা টপ পরতে হবে ইন করে
হাই ওয়েস্ট, মানে কোমরের দিক খানিকটা উঁচুতে হয়। এ ধরনের জিনসের সঙ্গে অবশ্যই শার্ট বা টপ ইন করে পরতে হবে।
ফ্লেয়ার জিনসে বেড়ে যায় উচ্চতা
ফ্লেয়ার জিনস মানে হাঁটুর দিক থেকে চাপা আর পায়ের নিচের দিকে বেশ ঢিলেঢালা। যে পরছে প্যান্টের কাটিংয়ের জন্য তার উচ্চতা বেশি মনে হয়।
সম্পূর্ণই ঢিলেঢালা ব্যাগি জিনস
ব্যাগি জিনস পুরোটাই বেশ ঢিলেঢালা হয়ে থাকে। এ ধরনের জিনসের প্যান্টের সঙ্গে গলাবন্ধ সোয়েটার আর লম্বা কোট মানানসই হবে।
এ ছাড়া মার্ক জ্যাকবস, সেলিন, গুচি ও ভিক্টোরিয়া বেকহ্যামের মতো ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো বছরজুড়েই জিনসের স্টাইলে এনেছে নতুন সব ধরন।