উৎসব এলে ছোটদের সাজগোজের প্রতি আগ্রহ যেন দ্বিগুণ হয়ে ওঠে। আর পূজা বলে কথা। নতুন পোশাকে খুশিতে মাতার আনন্দ তো তাদেরই বেশি। যদিও এবার বাইরে যাওয়ায় আছে নানা বিধিনিষেধ। তাই বলে নতুন পোশাকে সাজগোজ করতে কিন্তু নেই মানা। তাই ডিজাইনাররাও ছোটদের জন্য আনছেন নানা ধরনের নতুন নকশার পোশাক। ফ্যাশন হাউসগুলো ঘুরে কিন্তু তেমনটাই দেখা গেল।
ছোটদের পোশাকের কাপড়ের ক্ষেত্রে বরাবরই আরামের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ছোটদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে সাধারণত পোশাকের নকশা করা হয় বলে জানালেন দেশালের ডিজাইনার ইসরাত জাহান। পাশাপাশি আবহাওয়ার বিষয়টিকেও বিবেচনায় রাখে প্রতিষ্ঠানগুলো। এ কারণে পোশাকে সুতি কাপড়ের ব্যবহার বেশি দেখা যাচ্ছে।
পোশাকের নকশায় থাকছে নানা ধরনের মোটিফের ব্যবহার। কখনো হাতের কাজ আবার কখনো ব্লক বা বাটিকের কাজে এসব মোটিফ পোশাকে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। তবে এবার বিশেষভাবে নজর কাড়ছে প্যাচওয়ার্ক আর গ্লিটারের ব্যবহার। আড়ংয়ে লেহেঙ্গা, টপ, ধুতিতে থাকছে গ্লিটারের কাজ। খুঁতে থাকছে প্যাচওর্য়াক নিয়ে ছোটদের পোশাকের বিশাল আয়োজন। অরণ্য এনেছে ভেজিটেবল ডাইয়ের পোশাক।
এদিকে পোশাকে রঙিন পুঁতি আর লেসের ব্যবহার দেখা গেল শৈশব ও ইনফিনিটিতে৷ রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে শিশুদের পোশাকের দোকান শৈশবের বিক্রেতারা বললেন, সব বয়সী মেয়ে ও ছেলেশিশুদের জন্য নানা ধরনের পোশাকের আয়োজন থাকছে এখানে। ইনফিনিটিতে এনেছে লেসের ফ্রক। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের টপসও পাবেন এখানে। এ ছাড়া অনেক ফ্যাশন হাউসে থাকছে মায়ের সঙ্গে মিলিয়ে পোশাকের আয়োজন।
কাটের ক্ষেত্রে ফ্রক কাটের কামিজ আর টপ এবার বেশি দেখা গেল। টপের সঙ্গে মেয়েশিশুদের জন্য থাকছে ধুতি সালোয়ারের আয়োজন। ফ্যাশন হাউসগুলো আরও এনেছে সুতি কাপড়ের লেহেঙ্গা। এ ছাড়া বরাবরের মতোই ফ্রক, টপের আয়োজনও রাখছে ফ্যাশন হাউসগুলো। ছেলেদের জন্য থাকছে পাঞ্জাবি, ফতুয়া আর ছোট হাতার শার্টের আয়োজন। সুতি ছাড়াও ছেলেশিশুদের জন্য সিল্ক কাপড়ের ওপর হাতের কাজের পাঞ্জাবি ও ফতুয়া মিলবে। রঙের মধ্যে লাল, হলুদ, কমলা, নীল ও সবুজের ব্যবহারই বেশি থাকছে এবার।
হাউসগুলোতে শিশুদের জন্য থাকছে নানা ধরনের অনুষঙ্গের আয়োজনও। হাতের ব্রেসলেট, কানের দুল, আংটি, চুলের ক্লিপ, হেয়ার ব্যান্ড আর মালাসহ থাকছে আরও নানা কিছু। ইনফিনিটির কোনো কোনো পোশাকের নকশাতেই গয়নার মতো করে জুড়ে দেওয়া হয়েছে নানা রঙিন বিডস। পূজার মধ্যে এবার আছে গরম পড়ার সম্ভাবনা। যে কারণে যেভাবে শিশু সাজুক না কেন, পোশাক ও গয়না যেন জবরজং না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিলেন ডিজাইনাররা।
দরদাম
ফ্যাশন হাউস ভেদে শিশুদের সাধারণ ফ্রকের দাম পড়বে ৩৫০ থেকে ২০০০ টাকা, টুপিস ও থ্রিপিস ৫০০ থেকে ৩০০০, পার্টি ফ্রক ৫০০ থেকে ৩০০০ ও ওয়েস্টার্ন পোশাকের দাম পড়বে ৮০০ থেকে ৫০০০ টাকা। ছেলেদের পাঞ্জাবির দাম শুরু ৪০০ টাকা থেকে, ধুতি সালোয়ারের দাম পড়বে ৪০০ টাকা।