এখন এমন জুতা

শীতে চলবে নানারকম কেডস। মডেল: আজমীর ও অন্তু, জুতা: লোটো, ছবি: নকশা
শীতে চলবে নানারকম কেডস। মডেল: আজমীর ও অন্তু, জুতা: লোটো, ছবি: নকশা

সারা বছর অনেকেই জুতা পরেন। ঠান্ডা পড়লে তো জুতার কদর বেড়ে যায় কয়েক গুণ। শীতে তরুণরা বেশি পরবেন নানা ধরনের কেডস, মোকাসিন বা লোফার। ঠান্ডা থেকে পা তো বাঁচবেই, আর স্টাইলও হবে দারুণ। ধুলা থেকেও বাঁচা যাবে।
লোটো বাংলাদেশের সহকারী ব্যবস্থাপক (মার্চেন্ডাইজিং) তন্ময় মিত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, দেশে তরুণদের কাছে স্পোর্টস কেডসের জনপ্রিয়তাই সবচেয়ে বেশি। তাই সেদিকটা মাথায় রেখেই নানা ধরনের নতুন নকশার কেডস আসছে বাজারে। তন্ময় মিত্র বলেন, জুতা সাধারণত বেশি সময় ধরে পরে থাকতে হয়। পরিধানকারীর আরামের বিষয়টা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। ফলে জুতা তৈরির সময় এর কারিগরি দিকগুলো ঠিকমতো মেনে চলা জরুরি। নানা ধরনের উজ্জ্বল রঙের মিশ্রণে এখন ক্যাজুয়াল জুতা তৈরি হচ্ছে।
কী আছে বাজারে
ব্র্যান্ড থেকে নন-ব্র্যান্ড—সব দোকানেই মিলবে নানা ধরনের কেডস, মোকাসিন, স্নিকার বা লোফার। কালো বা চকলেটের বাইরেও উজ্জ্বল রঙের জুতাই বেশি দেখা যাচ্ছে। একাধিক রঙের মিশ্রণ থাকছে সেখানে। ব্র্যান্ডের জুতার বিশেষ সুবিধা হলো, কারিগরি দিকগুলো মেনে এসব জ্ুতা তৈরি হয়। জুতাকে হালকা, আরামদায়ক ও পায়ের আকারের সঙ্গে মানানসই করতে বিশেষ নানা উপাদান ব্যবহার করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের লেদার প্রোডাক্ট ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, শীতের সময় নানা ধরনের ক্যাজুয়াল জুতার চাহিদা বেড়ে যায়। জুতা কেনার সময় দামের পাশাপাশি স্থায়িত্ব ও আরামের দিকটা মাথায় রাখতে হয়।

জুতার সোলেও নকশার বৈচিত্র্য থাকবে
জুতার সোলেও নকশার বৈচিত্র্য থাকবে

কম ওজনের জুতাই সবাই পছন্দ করেন। কারণ, জুতা পায়ে দিয়ে যদি সেটা ভারী ভারী লাগে, তাহলে অস্বস্তি বাড়বে। জুতার কলারে (পায়ের গোড়ালির ওপরের দিকটায়) ফোম প্যাড থাকলে ভালো। জুতা কেনার আগে কলার ছাড়াও জুতার সোল ও উপাদান দেখে নেওয়ার পরামর্শ তাঁর। চামড়া ছাড়াও রেক্সিন, নানা ধরনের কাপড় (জিনস, প্যারাস্যুট, নেট), ফোম, নাইলন, টিপিআর, প্লাস্টিক ইত্যাদি দিয়ে তৈরি জুতা পাওয়া যাবে। এর মধ্যে টিপিআর (থার্মো প্লাস্টিক) উপকরণটি পরিবেশবান্ধব। যাঁরা জুতার ফিতা বাঁধা নিয়ে বিপত্তিতে পড়েন, তাঁদের জন্য আছে নানা ধরনের লোফার বা মোকাসিন। যাঁদের পা ঘেমে যায়, তাঁদের জন্য বাতাস চলাচলকারী কাপড়ের তৈরি জুতা ভালো। ক্যাজুয়াল এসব জুতায় সোল, কলার ও মাঝখানের দিকটাতে রং ও নকশার ভিন্নতা চোখে পড়বে।
দাম কত
ব্র্যান্ড ও নন-ব্র্যান্ড জুতার ক্ষেত্রে দামটাও দুই রকম। দুটি মিলিয়ে দাম ধরলে বিভিন্ন ধরনের স্পোর্টস কেডস কিনতে পারবেন ১২০০ থেকে ৯০০০ টাকায়, হাইনেক জুতার দাম পড়বে ১৫০০ থেকে ৫৫০০ টাকা, মোকাসিন বা লোফার কিনতে পারবেন ৬০০ থেকে ৭০০০ টাকায়। এর বাইরেও আরও বেশি দামের জুতাও আছে। বাজার ঘুরে সেখান থেকে বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের জুতা।
পাওয়া যাবে
ব্র্যান্ডের জুতার মধ্যে লোটো, বাটা, অ্যাপেক্স, বে এম্পোরিয়াম, অরিয়ন, হাশ পাপিসে পাবেন নানা ধরনের জুতার স্টাইলিশ সংগ্রহ। এ ছাড়া ঢাকার এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট, গুলিস্তান, পল্টন, ফার্মগেট, বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, যমুনা ফিউচার পার্ক, মোস্তফা মার্ট, প্রিন্স বাজার, গুলশান, উত্তরা ও মিরপুরের বিভিন্ন মার্কেটে জুতা কিনতে পারবেন।