গোধূলির রঙে হবে নবমী

পোশাক: মানাস; স্টাইলিং: ফায়জা আহমেদ; মডেল: প্রিয়াম ও নিহাফছবি: সুমন ইউসুফ

বিসর্জনের আগের দিন। সাজে প্রকৃতির স্নিগ্ধতাই তো কাম্য। তরুণ ফ্যাশন ডিজাইনার ফায়জা আহমেদের প্রেরণা হয়েছে প্রকৃতি।

পোশাক: মানাস; স্টাইলিং: ফায়জা আহমেদ; মডেল: প্রিয়াম ও নিহাফ
ছবি: সুমন ইউসুফ

নবমীর সকালে মেয়েদের জন্য জন্য হালকা হলুদ রঙের এন্ডি-কটন শাড়ি বেছে নেওয়া হয়েছে, যা কিনা বেশ মিষ্টি একটা আবহ তৈরি করবে। টেম্পল পাড়ের এই শাড়ির জমিন সাজানো হয়েছে হিব্রু অক্ষরে। তবে কোনো শব্দ নয়, বরং অক্ষরকে গ্রাফিক্যাল লে–আউটে সাজানো। অক্ষরগুলো সাজিয়ে তৈরি করা হয়েছে মোটিফ। অক্ষরগুলো কমলায় আর তার মধ্যে ওম মোটিফ সোনালি রঙে স্ক্রিন প্রিন্ট করা। এই শাড়ির সঙ্গী হয়েছে গাঢ় ছাই রঙের ডাই করা খাদির হাতাকাটা ব্লাউজ। ভি-কাটের এই ব্লাউজে গামছা কাপড়ের পাইপিংয়ে ভ্যালু অ্যাড করা হয়েছে। পেছনে ম্যাজেন্টা সুতা দিয়ে ঝোলানো ঝিনুক ব্লাউজকে দিয়েছে অন্য রকম সৌন্দর্য। শাড়ি আর ব্লাউজকে অনুষঙ্গ হিসেবে কমপ্লিমেন্ট করছে মাথায় তুলসী ফুল, হাতে পলা ও শাঁখা আর সিঁদুরের টিপ।

অন্যদিকে ছেলের পাঞ্জাবি দেশি তসরের। এটা ওপেন শেরওয়ানি কাট পাঞ্জাবি। অফ হোয়াইট এই পাঞ্জাবি জমিনে মোটিফ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে টেপা পুতুল। সেটাও কান্তজীর মন্দির থেকে নেওয়া।

এ সময়টা আবহাওয়ার বিষয়টা মাথায় রেখেই সকালের জন্য হালকা রং বেছে নেওয়া হয়েছে। তাতে স্বস্তি, আরাম আর স্নিগ্ধতা সবাই মিলবে।

বিকেলের জন্য বাছা হয়েছে গাঢ় গোলাপি এন্ডি–কটন শাড়ি। বাসন্তীকে লেখা রবিঠাকুরের চিঠির একটি অংশ রয়েছে পাড়ে। আঁচলে একটা বড় ফুলের স্ক্রিন প্রিন্ট। সঙ্গে গেরুয়া রঙের টপ। তাতে ছাপা গ্রিক ফুলদানির ছবি। এটা বেল্ট দেওয়া ব্লাউজ। এর সঙ্গে সঙ্গী হয়েছে আমাদের দেশের হাতে তৈরি কাঠের পুঁতির গয়না। পানদানির সঙ্গে রয়েছে ওড়না। এটা আসলে স্কার্ফের মতো স্টাইলিং করা যাবে শাড়ির সঙ্গে। এই অফ হোয়াইট খাদির ওড়নায় ছাপা রয়েছে রবিঠাকুরের ইংরেজি লেখার অংশবিশেষ। মেয়েটি অনুষঙ্গ হিসেবে পরেছে রুদ্রাক্ষ আর ঝিুনক দিয়ে হাতে তৈরি বিছা।

পোশাক: মানাস; স্টাইলিং: ফায়জা আহমেদ; মডেল: প্রিয়াম ও নিহাফ
ছবি: সুমন ইউসুফ

অপরদিকে ছেলের পাঞ্জাবিটা তসরের। এটাও শেরওয়ানি কাট পাঞ্জাবি। টেপাপুতুল থিমে করা। কমলা পাঞ্জাবিতে টেপাপুতুলের মোটিফ স্ক্রিন প্রিন্ট করা হয়েছে। সঙ্গে সিরাজগঞ্জের তাঁতে বোনা লুঙ্গি কাপড়ের পায়জামা। এতেও টেপাপুতুলের মোটিফ প্রিন্ট করা হয়েছে।

পূজা আর নবমীকে মাথায় রেখে গোধূলির রঙের বৈচিত্র্য, সেখান থেকেই বাছাই করা হয়েছে। আসলে প্রেরণা এখানে প্রকৃতি।