জুতসই জুতা

জুতার বেলায় আরাম ও স্টাইল গুরুত্ব পাচ্ছে এখন । মডেল: আজিম, জুতা: লোটো, ছবি: কবির হোসেন
জুতার বেলায় আরাম ও স্টাইল গুরুত্ব পাচ্ছে এখন । মডেল: আজিম, জুতা: লোটো, ছবি: কবির হোসেন
শীতের সময়টাতে পা ঢাকা জুতার কদর বেশ। একটু উষ্ণতা যেমন পাওয়া দরকার, তেমনই স্টাইলও যেন থাকে জুতাজোড়ায়। তবে সবার আগে চাই আরাম। প্রতিবছরই নতুন নকশার জুতা আসে বাজারে। এবারের শীতে কোন ধরনের জুতা চলবে, তার খোঁজ থাকছে এই প্রতিবেদনে।

স্টাইলের জন্য জুতার জুড়ি নেই। তবে জুতসই জুতা না বাছলে মাঠে মারা যাবে স্টাইল। সারা বছর যাঁরা কম কম পরেন, এই শীতে তাঁদের পায়েও উঠবে জুতা। শীতে উষ্ণতা পেতে জুতার কদর আলাদা। আর তাই শীতের আগেই এই মৌসুমের নতুন জুতার খোঁজ নিয়ে হাজির নকশা।

ছবি: কবির হোসেন
ছবি: কবির হোসেন

ফরমাল জুতা তো দশটা-পাঁচটার। এর বাইরে? ক্যাজুয়াল পোশাকের সঙ্গে পরার উপযোগী জুতা তো বেশি জরুরি। বাইরে ঘোরাফেরা, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, রাতের দাওয়াত বা আড্ডা—সবখানে মানানসই ক্যাজুয়াল জুতা। অনেকে ভোরে বা রাতে হাঁটতে বের হন, তাঁদের জন্য দরকার পড়ে হাঁটার জুতার। আর এসব জুতার স্টাইল দেখাও জরুরি। তবে এরও আগে মাথায় রাখতে হবে আরামের বিষয়টি। জুতা যদি আরামদায়ক না হয়, তাহলে দিনশেষে পায়ের সমস্যায় ভুগতে হবে নিজেকেই। 

ছবি: কবির হোসেন
ছবি: কবির হোসেন

লোটো বাংলাদেশের উপব্যবস্থাপক তন্ময় মিত্র জানালেন, একেক বয়সের জুতার ধরন একেক রকম হয়। তিনি বললেন, ‘আরামের কথা ভাবা হয় সব ধরনের জুতা তৈরির সময়ই। তরুণদের জুতা হোক আর বয়স্কদের জন্য, লোটো চিন্তা করে সেটা পরে আরাম বোধ হবে কি না। জুতা তৈরিতে সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের চেষ্টা করে লোটো।’

ছবি: কবির হোসেন
ছবি: কবির হোসেন

এই সময়ের জুতা

জল–কাদার দিনে যে জুতা পরে অনায়াসে চলা যায়, শীতে সেটা বড্ড বেমানান দেখাতে পারে। শীতের দিনগুলোতে সবাই চায় যতটা সম্ভব ঘেরা জুতা পরতে। এতে পায়ে ওম পাওয়া যায়। বাটার মেনস কালেকশনস ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের প্রধান রেজাউল হায়দার বলেন, ‘সারা বিশ্বেই সব মৌসুমে ক্যাজুয়াল জুতার চল দেখা যায়। আমাদের এখানেও তাই। বিশেষ করে তরুণদের কাছে কালারফুল স্নিকারস আর হাই কাট জুতার চাহিদা বেশি এখন। শীতে বাটাও তাই সেসব মাথায় রেখেই নতুন নতুন সংগ্রহ বাজারে আনছে নিয়মিত।’

জুতা কেনার ক্ষেত্রে নকশাও গুরুত্ব পায় ক্রেতার কাছ।
জুতা কেনার ক্ষেত্রে নকশাও গুরুত্ব পায় ক্রেতার কাছ।

রেজাউল হায়দারের সঙ্গে কথা বলেই জানা গেল, বাটার অধিকাংশ ক্যাজুয়াল জুতায় ব্যবহার করা হয় আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় অর্থোলাইট ফোম; যা আরামদায়ক তো বটেই, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানে তৈরি হয়। ফলে জুতার ভেতর দুর্গন্ধ বা ছত্রাকের আক্রমণ এড়ানো য়ায়।

স্নিকারস, হাইকাট জুতা, বুট, স্পোর্টস জুতা, ওয়াশঅ্যাবল জুতা ইত্যাদি এই সময়ে বেশি চলবে।

স্টাইলের পাশপাশি জুতা জোড়া যেন হালকা হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখা হয় লোটোতে—এমনটাই জানা গেল তন্ময় মিত্রের কাছ থেকে। তবে হালকা করতে গিয়ে টেকসই ভাবনা যেন হারিয়ে না যায়। হাঁটার সময় মানুষের পা যতটা বাঁকা হতে দেখা যায়, সেটা প্রযুক্তির সাহায্যে বিশ্লেষণ করে সেভাবেই জুতার আরাম নিশ্চিত করা হয়।

পা ঢাকা জুতার উপকরণও হতে হবে আরামদায়ক
পা ঢাকা জুতার উপকরণও হতে হবে আরামদায়ক

কেমন দাম

শীতের জুতা কেনার এই এক মজা। ছোট–বড় সব ব্র্যান্ড থেকেই জুতা কিনতে পারবেন। কারণ, ৪০০ থেকে শুরু করে ৪ হাজার টাকায় কেনা যাবে ক্যাজুয়াল শীতের উপযোগী জুতা।

নন–ব্র্যান্ড হলে পড়বে ৩০০ থেকে ২ হাজার টাকা। এই টাকায় অনেক বিদেশি জুতাও মিলবে কিছু কিছু মার্কেটে।

কোথায় পাবেন

ব্র্যান্ডের জুতা কিনতে চাইলে লোটো, বাটা, অ্যাপেক্স, বে, অরিয়ন ইত্যাদি ব্র্যান্ডের যেকোনো শাখায় যেতে পারেন। এ ছাড়া ঢাকার বনানীতে পুমার নিজস্ব শোরুম থেকে কেনা যাবে জুতা। অ্যাডিডাস, নাইকি, হাস পাপিস ইত্যাদি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের জুতা পাবেন বাটার শোরুমে। এ ছাড়া এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট, গুলিস্তান, সায়েদাবাদ, মতিঝিল, উত্তরা বা মিরপুরের বিভিন্ন দোকানে মিলবে নন–ব্র্যান্ডের ক্যাজুয়াল জুতা।