নকশি ফোঁড়ে...

প্রাপ্তি ফাউন্ডেশনের নকশি পণ্যের চাহিদা এখন দেশ-বিদেশ জুড়ে। মডেল: ইমা, ছবি: নকশা
প্রাপ্তি ফাউন্ডেশনের নকশি পণ্যের চাহিদা এখন দেশ-বিদেশ জুড়ে। মডেল: ইমা, ছবি: নকশা

নকশি ফোঁড়ের সূক্ষ্ম সৌন্দর্য শহুরে বাজারে জনপ্রিয়তা পেয়েছে অনেক দিন আগেই। দেশ পেরিয়ে বিদেশের বাজারেও এখন বেশ চাহিদা এর। যশোরের প্রাপ্তি ফাউন্ডেশনের বোনা নকশি কাঁথা ও কাঁথা ফোঁড়ের কাজ রপ্তানি হচ্ছে জাপান, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও কোরিয়াতে। তবে চাহিদা বেশি জাপানে।

.
.

১৬ জন সদস্য নিয়ে যশোরের জিকরগাছায় সংগঠনটি গড়ে উঠেছিল ২০০৩ সালে। একসময় এর সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন জাপানের স্থানীয় এক স্কুলের সংস্কৃতি বিষয়ের শিক্ষক খন্দকার আনিসুর রহমান। তিনি পরামর্শ দেন নকশি কাঁথা বোনার। এরপর ২০০৪ সালেই শুরু হয় নকশি কাঁথা বোনা। শুধু পরামর্শ দিয়ে থামেননি এ জাপানপ্রবাসী, ২০০৫ সালে তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দেন। জাপান-বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন (জেবিসিএ) এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসে। জেবিসিএর সহযোগিতায় দেশি শিল্পীরা প্রশিক্ষণ দেন প্রাপ্তির ২৫ নারী শ্রমিককে। প্রশিক্ষণে তাঁদের শেখানো হয় নকশি কাঁথার মধ্যে শিবোরি নকশা করা। শুরুর দিকে দেশেই বাজারজাত করেন। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো নকশি কাঁথা রপ্তানি করার সুযোগ পান তাঁরা। যশোরের নকশি কাঁথা যায় জাপানে।
খন্দকার আনিসুর রহমান বলেন, ‘২০০০ সালের দিকে জাপানে প্রথম নকশি কাঁথা দেখি। এটি দেখে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম জাপানেও আমাদের দেশি সংস্কৃতিকে ছাড়িয়ে দেওয়ার।’ বর্তমানে তিনিই সংগঠনটির সভাপতি। এর অধীনে কাজ করছেন প্রায় তিন হাজার নারী শ্রমিক। তাঁদের তৈরি পণ্যের মধ্যে রয়েছে নকশি কাঁথা, শাড়ি, শাল, ওয়ালম্যাট, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, হাতব্যাগ ইত্যাদি।
প্রাপ্তি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আহাদুজ্জোহা জানান, দেশি বাজারের পাশাপাশি তাঁরা বিদেশের বাজারকেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাঁদের পণ্য কেনার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন খন্দকার আহাদুজ্জোহার সঙ্গে।
যোগাযোগ: ০১৭১২৭৫৮৯৫৪।