নানা বেশে বর
কিছুদিন আগেই বিয়ে করলেন বিরাট কোহলি-আনুশকা শর্মা। ক্রিকেট আর বলিউডের এই মহামিলনে আলোচিত ছিল তাঁদের বিয়ের পোশাকও। বিয়ের প্রতিটি অনুষ্ঠানেই বর বিরাট কোহলি ছক্কা মেরেছেন পোশাকে। পাঞ্জাবির সঙ্গে কটি, মোগল শেরওয়ানি বা স্যুট—একেক অনুষ্ঠানে বিরাটের সাজও ছিল একেক রকম।
বিয়ের প্রতিটি অনুষ্ঠানের জন্য বরের পোশাক পরিকল্পনা আগেই করে নেওয়া ভালো। কনের পোশাকের রং ও নকশা মাথায় রেখেই সেটা বাছাই করা যেতে পারে। ফ্যাশন হাউস ওটুর স্বত্বাধিকারী জাফর ইকবাল তো বলেই দিলেন, বরের পোশাক যে হুবহু কনের শাড়ির নকশা ধরে হবে, সেটা নয়। তবে বরের পোশাকের কোথাও না কোথাও কনের পোশাকের সঙ্গে একটা মিল রাখতে হবে।
এ বছর আন্তর্জাতিকভাবে ছেলেদের পোশাকে ফুলেল নকশার সঙ্গে নতুন যুক্ত হয়েছে পশুপাখির নকশা। সেই ধারা মেনে বরের শেরওয়ানি, প্রিন্স কোট বা কটিতে এমন নকশা দেখা যাচ্ছে। কারুকাজ ছাড়া বা কম কাজের শেরওয়ানিও আছে। একেক অনুষ্ঠানে বরের সাজপোশাক হতে পারে একেক রকম।
প্রথম দেখায় পাঞ্জাবি মনে হলেও এটি আসলে ভারী কাপড়ে তৈরি শেরওয়ানি। বরের পোশাকের নানা ধরনের নিরীক্ষা এই শেরওয়ানির অনুপ্রেরণা। বডি ও হাতায় দুই ধরনের কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে বেশ যত্ন করে। ক্রিম রঙের এই শেরওয়ানির সঙ্গে চুড়িদার বা ন্যারো পায়জামা ভালো দেখাবে। পোশাক: অঞ্জন’স
বউভাতের অনুষ্ঠানে বর হতে পারেন স্যুট-বুটের সাহেব। তবে পুরোপুরি আনুষ্ঠানিক না হয়ে কিছুটা অনানুষ্ঠানিক ভাব থাকলেই ভালো। কারণ, নিজের বিয়ে হলেও বরকে ছোটাছুটি করতে হবে। তাই শার্টের সঙ্গে একটা ক্যাজুয়াল ব্লেজার আর আরামদায়ক প্যান্ট বেছে নিতে পারেন। এক হাতে ঘড়ি আর মিলিয়ে জুতা বেছে নিলেই সাজে পূর্ণতা আসবে।
ফিরোজা রঙের প্লেন কাপড়ের শেরওয়ানি। হাতা ও বুকের বোতামে সোনালি সুতার নকশা। তার সঙ্গে মিলিয়ে বুকপকেটে রাখা পকেট স্কয়ারও সোনালি। এমন লুকেও বাজিমাত করতে পারেন বিয়ের দিন। পোশাক: ওটু
বেগুনি আর সোনালি কাতান কাপড়ে তৈরি শেরওয়ানি। তবে কলার আর বোতামে সূক্ষ্ম জরি ও সুতার কাজে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। সঙ্গে সাদা বা বেগুনি চাপা পায়জামা পরলে মানিয়ে যাবে। নাগরার বদলে বেছে নিতে পারেন মানানসই স্যান্ডেল।
পোশাক: অঞ্জন’স
অনেকেই বিয়ের অনুষ্ঠানে ভারী শেরওয়ানি পরতে চান না। তাঁরা উজ্জ্বল রঙের পাঞ্জাবির সঙ্গে চুড়িদার পরতে পারেন। মুকুট আর পায়ে মানানসই লোফার বদলে দেবে বরকে। হলুদের অনুষ্ঠানেও এমন পাঞ্জাবি সহজে মানিয়ে যাবে। মডেল: আজিম–উদ–দৌলা, পোশাক: লুবনান