পোশাকে ভালোবাসাময় পৃথিবীর সন্ধান

প্রকৃতি ঐশ্বর্য তুলে ধরছেন গৌরি ও নয়নিকাছবি: ল্যাকমে ফ্যাশন উইক

ল্যাকমে ফ্যাশন উইকের আসর মানে নতুন কাপড়ের গন্ধ। নতুন নতুন নকশা। হারিয়ে যাওয়া শিল্পধারাকে আবার নতুন আঙ্গিকে ফিরিয়ে আনা। তার সঙ্গে বলিউড তারকাদের দাপট। তবে উৎসবের তৃতীয় দিনেও তারকার দেখা না মিললেও এখন পর্যন্ত ল্যাকমের আসরজুড়ে রয়েছে সৃষ্টির জয়জয়কার।

ল্যাকমের আসরজুড়ে সৃষ্টির জয়জয়কার
ছবি: ল্যাকমে ফ্যাশন উইক

এফডিসিআই আয়োজিত ল্যাকমে ফ্যাশন উইকের এদিনের আয়োজন ছিল বৈচিত্র্যময়। ফ্যাশন উৎসবের তৃতীয় দিন ছিল ফিজিটাল। ডিজিটাল ও ফিজিক্যাল দুই ধরনের শোর আয়োজন করেছিল ল্যাকমে।

ফিজিক্যাল শোয়ের মাধ্যম এদিনের আসরে এক মুঠো তাজা বাতাস ছড়িয়ে দেন জনপ্রিয় ডিজাইনার মাসাবা। মুম্বাইয়ের মাজগাঁওতে এই ফিজিক্যাল শোয়ের আসর বসেছিল।

মাসাবার আয়োজনে ছিল হালকা মেজাজের পোশাক
ছবি: ল্যাকমে ফ্যাশন উইক

নীনা গুপ্তা-ভিভ রিচার্ডসর কন্যা মাসাবার আয়োজনে ছিল হালকা মেজাজের পোশাক। রিসোর্ট কালেকশন নিয়ে এদিন তিনি হাজির ছিলেন। অফসোল্ডার জাম্প স্যুট, ম্যাক্সি স্কার্ট, ট্রাক প্যান্ট, জগারস প্যান্ট, বিকিনি কাট চোলির সঙ্গে হালকা লেহেঙ্গা, মিনি ফ্রক আরও ক্যাজুয়াল পোশাক ছিল এই আয়োজনে। মাসাবা পুরুষদের জন্যও ক্যাজুয়াল পোশাক এই মঞ্চে নিয়ে এসেছিলেন।

ল্যাকমে ফ্যাশন উৎসবের তৃতীয় রাতে এক নয়নাভিরাম পরিবেশন ছিল ডিজাইনার গৌরী ও নয়নিকার। ফ্লোরাল প্রিন্টের রংবাহারি পোশাক উপস্থাপন করে এই ডিজাইনার জুটি। ফ্রিল দেওয়া গাউনের অভিনবত্ব এই মঞ্চে আনেন গৌরী ও নয়নিকা।

গৌরী ও নয়নিকার মন ভালো করা ডিজাইন
ছবি: ল্যাকমে ফ্যাশন উইক

ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এই কালেকশন সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা আমাদের কালেকশনের মাধ্যমে প্রকৃতিকে তুলে ধরতে চেয়েছি। এই আয়োজনে আছে ভরপুর রোমান্স। সব মিলিয়ে আমরা এক ভালোবাসাময় পৃথিবীর সন্ধান দিতে চেয়েছি।’

এই রাত আরও জমজমাট ছিল অ্যাজিওর পরিবেশনায়। ফ্যাশনপ্রেমীদের সঙ্গে পরিচয় করানো হয় পাশ্চাত্য পোশাকের নতুন ট্রেন্ডের সঙ্গে। এই ফিজিক্যাল শোতে প্যান্ট, ট্রাউজার, কেপ্রি, শর্টপালাজ্জো, মিনিফ্রকের নানান ট্রেন্ড তুলে ধরা হয়। তবে তৃতীয় দিনের শেষ রাত ঝলমলিয়ে ওঠে সাবেকি পোশাকের নান্দনিকতায়।

সুনীত ভার্মার ফিফটি শেডস অব হ্যাপিনেস
ছবি: ল্যাকমে ফ্যাশন উইক

ডিজাইনার সুনীত ভার্মার উৎসবের রাত এবং কনের সাজের পোশাক নিয়ে হাজির ছিলেন এদিন র‍্যাম্পে। তাঁর ‘ফিফটি শেডস অব হ্যাপিনেস’ কালেকশনে খুশির টুকরো টুকরো মুহূর্ত ক্যানভাসে ফুটে ওঠে। লেহেঙ্গা-চোলি, শাড়ির ওপর গ্লিটার, সিকুইন, এমব্রয়ডারি, জারদৌসি কাজের বাহারে এই রাত ছিল আলোকময়। এফডিসিআই আয়োজিত ল্যাকমে ফ্যাশন উইকের আগামী দুই দিন আরও ম্যাজিক্যাল আয়োজন যে থাকবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।