সবখানেই ফিটফাট থাকতে পছন্দ করেন শাহ্জামান মজুমদার। কোনো অনুষ্ঠান, অফিস, এমনকি বাজারে গেলেও সচেতন থাকেন নিজের পোশাক ও আনুষঙ্গিক জিনিস ব্যবহারে। একসময় দেশের বাইরে থেকেই পোশাক বানিয়ে আনতেন। এখন অবশ্য দেশেই তৈরি করেন নিজের পোশাক।
বলেন, ‘পোশাক বানানোর জন্য কাটা থেকে শুরু করে বোতাম, সেলাই—সবকিছুর জন্য দরকার পড়াশোনা বা সঠিক জ্ঞান। তাই নিজেই কয়েকজন দরজিকে দিয়ে শতাধিক কাপড় বানালাম, যেগুলোর মাত্র কয়েকটাই পরার মতো হয়েছিল। এভাবে বানাতে বানাতে তাঁরা দক্ষ হয়ে উঠেছেন। আমার রুচি তাঁরা বুঝতে পেরেছেন এখন।’
নিজে আয় শুরু করার পর থেকেই স্টাইলের প্রতি আলাদা ভালোবাসা গড়ে ওঠে। অফিসে যান পুরোদস্তুর সাহেব বেশে। শার্টের সঙ্গে কোট-টাই আর প্যান্ট হওয়া চাই মানানসই। জুতার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটে না। হাতে ঘড়ি পরেন।
পার্টিতে গেলে টাই পরেন না। এর বদলে গলায় পরেন কারাভাট। এ সময় একটু ক্যাজুয়াল কোট বেছে নেন। কোটের পকেটে থাকা চাই পকেট স্কয়ার। তবে পোশাক বানানোর আগে অনেক ভাবনাচিন্তা করেন। ভাবনার সঙ্গে মিল রেখে তৈরি করতে দেন পোশাক।
ছুটির দিনে জিনস ও শার্ট পরে বাজার করতে যান। চুলেও আছে নিজস্ব স্টাইল। লাল, নীল আর গোলাপি পছন্দের রং হলেও অন্যান্য রঙের পোশাকও পরেন। তবে স্ত্রীর পছন্দকে গুরুত্ব দিয়ে সাদা রঙের পোশাক পরেন তিনি।
মাঝেমধ্যে পাঞ্জাবি পরেন। এর সঙ্গে কখনো প্যান্ট, কখনো পায়জামা বেছে নেন। পাঞ্জাবি পরলে পায়ে থাকে ক্যাজুয়াল জুতা।
শাহ্জামান মজুমদারের সকালের কিছুটা সময় কাটে নাতনির সঙ্গে। আর অবসর কাটে বাসার দুটি কুকুরছানাকে ঘিরে। সময় পেলে বই পড়েন। কখনো কাজে, কখনো কারণ ছাড়াই দেশের বাইরে বেড়াতে যান।
শাহ্জামান মজুমদারকে শৌখিন মানুষ বলা যায়। শখের রাজ্যে বিচরণ তাঁর নানা দিকে। এই তালিকা পাল্টে যায় বিভিন্ন সময়ে। রান্না করা, ছবি আঁকা, আর্চারি—এসব শখ মিটিয়েছেন বিভিন্ন সময়ে। এখন মেতে আছেন সাবান তৈরিতে। কোনো ধরনের চর্বি ছাড়া নানা রকমের সবজি ও এর তেল দিয়ে সাবান তৈরি করেন। সাবান তৈরির নানা ধরনের উপকরণ কিনে এনেছেন বিভিন্ন দেশ থেকে। বাসার সবাই এবং আত্মীয়রা এখন এই সাবানের ভক্ত।
নিজের ফ্যাশন ব্লগ নিয়ে শাহ্জামান মজুমদার বলেন, ‘একজন মানুষের শুধু ভালো পোশাক পরলেই হবে না, তার সঙ্গে তাকে জানতে হবে চলাফেরা বা নানা ধরনের আদবকেতা। এই ব্লগে সেই বিষয়ে নানা পরামর্শ দিয়ে থাকি। প্রতিদিন অনেকেই নানা বিষয়ে জানতে চান দেশ-বিদেশ থেকে। অনেকে ই-মেইল করে পরামর্শ চান অনুষ্ঠানে কেমন পোশাক পরবেন, সে বিষয়ে। তাঁদের আগ্রহ দেখে মুগ্ধ হই।’