রঙ-রায়টের প্যাচওয়ার্ক

মিলান ফ্যাশন উইকে ডলচে অ্যান্ড গ্যাবানার স্প্রিং-সামার ২০২১ সংগ্রহের ক্যাটওয়াকছবি: রয়টার্স


লন্ডনে পর্দা নামার পরপরই শুরু হয়েছে মিলানের আসর। তবে নিউইয়র্ক আর লন্ডনের মতো মিলান ফ্যাশন উইকও হচ্ছে ফিজিটাল (ফিজিক্যাল ও ডিজিটাল) শো। ইউরোপে দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ সত্ত্বেও ফিজিক্যাল শোয়ের সংখ্যা এখানে বেশি। একাধিক জিডাইনার ফিজিক্যাল শো করেছেন। ডলচে অ্যান্ড গ্যাবানার সংগ্রহে ছিল প্যাচওয়ার্কের অনবদ্য গল্পে রঙের নান্দনিকতা।

প্যাচওয়ার্ক করা ডেনিম জ্যাকেট ও শর্টস
ছবি: রয়টার্স

ডলচে অ্যান্ড গ্যাবানার সঙ্গে মিল পাওয়া যায় প্রয়াত ডিজাইনার কার্ল লেগারফেল্ডের। তাঁদের সৃষ্টি মানেই চমক। নতুনের উদ্ভাস। এবার মিলানে দোমিনিকো ডলচে আর স্তেফানো গ্যাবানা জুটির বসন্ত-গ্রীষ্ম ২০২১ সংগ্রহের প্রেরণা হয়েছে কাপড়ের কারুশিল্প। তাঁদের থিমই ছিল সিসিলিয়ান প্যাচওয়ার্ক। ভিডিও বার্তায় তাঁরা বলেছেন এই দ্বীপে তাঁদের অভিজ্ঞতা, যে কেউ খুঁজলে পাবেন এমন অনেক কিছু।

কারণ, স্প্যানিশ থেকে আরব মায় অনেক জাতিরই পা পড়েছে। ফলে এখানকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে ঋদ্ধ নানা জাতির উপাদানে। ফলে খুঁজলেই পাওয়া যাবে মণিমুক্তা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ডলচে অ্যান্ড গ্যাবানার নিজস্বতা। সেই আওয়ার গ্লাস ড্রেস, নিখুঁত কাটের জ্যাকেটে ব্রোকেড, জর্জেট, সুতি, শিফনের চৌকোনাকৃতি টুকরার গলাগলি। মিনি ড্রেস, পোলকা ডট ও ফুলেল মোটিফের বাস্টিয়ার আর ব্রা টপস। লেস দেওয়া জিনস। সব মিলিয়ে রঙের রায়ট। ১৯৯৩ সালের সংগ্রহেও ছিল প্যাচওয়ার্ক। সে সময় প্রেরণা ছিল বোহেমিয়ান সেভেন্টিজ।

প্যাচওয়ার্কে রঙের ঝর্ণাধারা
ছবি: রয়টার্স

এবারের সংগ্রহে আরও একটা বিষয় স্পষ্ট, লকডাউনে সুচিকর্মকেই দুই পোশাক নকশাবিদ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। যাতে ঘরে বসেই কাজটা করা যায়। একটা কাপড়ের টুকরার সঙ্গে আরেকটা টুকরা জোড়া দিয়ে নিটোল গল্প বলার প্রয়াস পেয়েছেন শিল্পীরা। অথচ প্রতিটি টুকরা গল্পের চরিত্রদের মতোই আপন বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল।