শীতে ব্যালেরিনা

চাহিদার কারণেই ব্যালেরিনা জুতার নকশায় বৈচিত্র্য এসেছে। ওপেন টো, ক্লোজ টো, পয়েন্টি টো, রাউন্ড টোসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত এ জুতার আকার। তবে যেসব ব্যালেরিনার সামনে খোলা, সেগুলো গরমের সময় বেশি জনপ্রিয়। অন্যদিকে, যেসব ব্যালেরিনার সামনের দিক আটকানো, শীতের সময় সেগুলোর চাহিদা বেড়ে যায়। পা দুটি আরামে রাখাই হচ্ছে ব্যালেরিনার অন্যতম কাজ। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়েও ব্যালেরিনার নকশা বেছে নিলে ভালো।

আঙুল ঢেকে থাকবে—এ ধরনের ব্যালেরিনা কেনা উচিত। যাঁরা উচ্চতায় একটু খাটো, তাঁদের জন্য পয়েন্টি ব্যালেরিনা উপযুক্ত। ব্যালেরিনা জমকালো দাওয়াতের জন্য নয়। সারা দিনের চলাফেরা, বন্ধুদের আড্ডায়, কেনাকাটায় মানানসই এ জুতা।

ব্যালেরিনা সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেই মানিয়ে যায়
ছবি: প্রথম আলো

ব্যালেরিনা সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেই মানিয়ে যায়। তবে শাড়ি ও সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে একটু চোখা আছে সামনে, এ ধরনের ব্যালেরিনা পরুন। এ ধরনের পোশাকের সঙ্গে কিটেন হিল ও সেমি ওয়েজেস ব্যালেরিনাও মানানসই হবে। লেগিংস ছাড়াও জিনস, স্কার্ট ও ক্যাপ্রির সঙ্গে পরতে পারবেন। ব্যালেরিনা কেনার সময় লক্ষ রাখবেন যেন পায়ের সব কটি আঙুল জুতার ভেতর ঢোকানো থাকে। বিশেষ করে যাঁদের পায়ের সামনের অংশটি চওড়া, তাঁরা জুতায় আঙুল না ঢোকার সমস্যায় পড়েন।

রং আর নকশায় ব্যালেরিনার বাজার এখন সমৃদ্ধ। মডেল নাবিলা
ছবি: প্রথম আলো

রং আর নকশায় ব্যালেরিনার বাজার এখন সমৃদ্ধ। লাল, নীল, কালো, হলুদ, গাঢ় সবুজ, সাদা, যে ধরনেরই আপনি চান, খুঁজে পাবেন সহজেই। ছাপা নকশা, পুঁতি, বিডস অনেক কিছু দিয়েই সাজানো হচ্ছে ব্যালেরিনাকে। এর উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সাটিন, চামড়া, ক্যানভাস ও টেক্সটাইল। বাংলাদেশে তৈরি ব্যালেরিনাগুলো পুরোপুরি পাশ্চাত্য ধাঁচে না করে কিছুটা নকশা বদল করে নেওয়া হয়, যাতে এ দেশের পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে পরা যায়।