করোনকালে পুরো বিশ্ব সংকটাপন্ন। এরই মধ্যে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত পার করছে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি। যে কারণে হয়তো বাংলাদেশের মানুষ আরও বেশি উদ্বিগ্ন। যার প্রভাব পড়ছে আমাদের অর্থনীতিতে। বিশেষ করে ফ্যাশনশিল্পে। ফ্যাশন উদ্যোক্তাদের ভাষায়, গত বছর দুটি প্রধান উৎসব কেটেছে বিক্রিহীন। যে কারণে এই শিল্পসংশ্লিষ্ট সবাই কঠিন সময় পার করেছে।
এ বছরও অবস্থা অনেকটা একই রকম। শপিং মল, দোকানগুলো খুলে দিলেও বিক্রি এখনো আশানুরূপ নয় বলেই জানা গেছে। এ অবস্থায় দেশীয় ফ্যাশনশিল্প খাতের সুহৃদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন নন্দিত অভিনয়শিল্পী ফেরদৌস আহমেদ।
ফ্যাশন হাউস বিশ্বরঙ এই শিল্প খাতের সঙ্গে জড়িতদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে নানাভাবে। এরই অংশ হিসাবে বিশ্বরঙের স্বত্ত্বাধিকারী ডিজাইনার বিপ্লব সাহা চেষ্টা করছেন তারকাদের সম্পৃক্ত করতে। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১ মিনিট ৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন ফেরদৌস আহমেদ। এ বার্তায় তিনি ফ্যাশনশিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জন্য সবাইকে সমব্যথী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
ভিডিওর শুরুতে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান ফেরদৌস আহমেদ। অতিমারি করোনার এই সময়ে ঈদ উপলক্ষে অনেক বেশি আনন্দ বা উচ্ছ্বাস প্রকাশের অবকাশ নেই। তাই বড় পরিসরে বা আয়োজন করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে শপিং মলে ভিড় না করারও আহ্বান জানান তিনি। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে এখন অনেক এগিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় অনলাইন বা ই-কমার্স শপিং প্ল্যাটফর্মও আগের থেকে অনেক তৎপর এবং গোছানো। এ জন্যই শপিং মলে না গিয়ে বরং অনলাইন প্ল্যাটফর্মেই নিজেদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সেরে ফেলার তাগিদ দিয়েছেন এই অভিনেতা।
এর সঙ্গে মানবিক কারণে হলেও ঈদের পোশাক কেনার কথা বলেছে ফেরদৌস আহমেদ। কারণ তিনি বলেন, একটি পোশাক বিক্রি হলে শুধু উদ্যোক্তা লাভবান হন না; এর সঙ্গে জড়িত পরিবারগুলোও উপকৃত হয়। তাই ঈদের পোশাক কেনা মানে ফ্যাশনশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া।
এমনিতেই গত এক বছরের সংকটে এই শিল্প বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে। অনেক দক্ষ কারিগর ও কারুশিল্পী কাজ হারিয়েছেন। বাধ্য হয়ে পেশা বদল করেছেন। আর যাঁরা এখনো নিজের কাজকে ভালোবেসে টিকে আছেন, তাঁরা দিন যাপন করছেন চরম কষ্টে। তাই দেশের বয়নশিল্প, কারুশিল্প এবং ঐতিহ্যকে বাঁচাতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন এই অভিনয়শিল্পী।
করোনা থেকে নিজেকে এবং পরিবারের সবাইকে নিরাপদে রাখতে যেকোনো অবস্থায় সরকার–নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করে ফেরদৌস সবাইকে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহারের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন।