দেখতে দেখতে শেষ হয়ে এল রোজা। এবার ঈদ উদযাপনের পালা। কিন্তু করোনায় এবারও ঈদ উদযাপন হবে একপ্রকার ঘরবন্দী হয়ে। লকডাউন কিছুটা শিথিল হওয়ায় মানুষ বাইরে বেরোতে পারছে। কিনতে পারছে প্রয়োজনীয় সামগ্রী। দোকানপাট খুলে দেওয়ায় অন্য সবার মতো ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো কিছুটা হাঁপ ছেড়ে বাঁচে। তবে তারা ফিজিক্যাল শপিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের পাশাপাশি জীবাণুমুক্ত করার সব ব্যবস্থাই করেছে। পাশাপাশি ফিজিক্যাল শপিং এড়ানোর জন্য অনলাইনে কেনাকাটাকে উৎসাহিত করছে।
শপিং আনন্দের হলেও এবার পরিণত হয়েছে দায়িত্বের কারণ। ঈদে নতুন পোশাক কেনার ইচ্ছা সবার থাকে। তবে সেই শপিংয়ে অমিতব্যয়িতা নয়, বরং ফ্যাশনশিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কথা মাথায় রেখে একটা হলেও কিছু কিনলে অনেকগুলো পরিবারের জীবনও আনন্দময় হয়ে উঠবে।
ফ্যাশন হাউস বিশ্বরঙের কর্ণধার ফ্যাশন ডিজাইনার বিপ্লব সাহার অনুরোধে সাড়া দিয়ে একটি পোশাক কিনে ফ্যাশনশিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন নন্দিত চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী জয়া আহসান, ফেরদৌস, মডেল ও অভিনয়শিল্পী মৌ। এ তালিকায় এবার যোগ হয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী।
সামিনাও করোনাকালে এই ইন্ডাষ্ট্রির মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পোশাক কেনা সব সময় আনন্দের হলেও এবার সেটা দায়িত্ব।
তিনি বলেন, কারণ, গত বছর থেকেই অন্য ইন্ডাস্ট্রির মতো ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিও চরম সংকটের মধ্যে রয়েছে। তাই তাদের পাশে দাঁড়ালে এই শিল্প বাঁচবে। বাঁচবেন এর দক্ষ কারিগরেরা।
আর মলে বা মার্কেটে গিয়েই কিনতে হবে, এমন তো নয়। বরং বাসায় বসেও কেনা যেতে পারে। আসরে একটা কিছু কেনা মানে অনেক পরিবারের সুহৃদ হওয়া। তাদের প্রতি সহমর্মিতা দেখানো, বলেছেন এই নন্দিত কণ্ঠশিল্পী।