সূচনারাতে অনামিকার ইন্দ্রজাল

অনামিকা খান্নার সংগ্রহ। এই সংগ্রহ ছিল ল্যাকমে ফ্যাশন উইকের সুচনা রাতে
ছবি: ল্যাকমে ফ্যাশন ‍উইক

বসন্তের নানান রং গায়ে মেখে শুরু হলো ‘ল্যাকমে ফ্যাশন উইক’। প্রতিবছর ফ্যাশনপ্রেমীরা অপেক্ষায় থাকেন এই ফ্যাশন মহোৎসবের। নামী ডিজাইনাররা মেতে থাকেন সৃষ্টিকর্ম উপস্থাপনার উল্লাসে। এই আসর জানিয়ে দেয় আগামী ফ্যাশনের ধারা।

নজর কাড়ে তাঁর এমব্রয়ডারি
ছবি: ল্যাকমে ফ্যাশন ‍উইক

১৬ মার্চ রাতে সারা দুনিয়া সাক্ষী হয়ে রইল এক ম্যাজিকাল আবহের। খ্যাতনামা ডিজাইনার অনামিকা খান্নার হাত ধরে শুরু হলো ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া আয়োজিত ‘ল্যাকমে ফ্যাশন উইক’। করোনার কারণে এবারও ‘ল্যাকমে ফ্যাশন উইক’ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বন্দী। ১৬ থেকে ২১ মার্চ—এই ছয় দিন ভার্চ্যুয়ালি উদযাপিত হতে চলেছে এবারের ফ্যাশন উৎসব।

প্রত্যাশামতো ল্যাকমের সূচনার রাত ছিল মনোরম। অনামিকা খান্না তার আয়োজনে তুলে ধরেন প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সংমিশ্রণে ফ্যাশনের এক নতুন ধারা। সাদা ক্যানভাসের ওপর নানান রঙের আঁচড়ে এই রাত ছিল ব্যতিক্রমী।

বৃষ্টি ধারা গায়ে অনামিকার ডিজাইন করা পোশাক পরে ডিজিটাল মঞ্চে হাঁটেন মডেলরা। তবে সবচেয়ে নজর কাড়ে তাঁর এমব্রয়ডারি, ফ্যাব্রিক, আর লেসের কাজ। জুতর ওপরও এমব্রয়ডারিতে অভিনবত্ব মেলে ধরেন অনামিকা।

অনুষ্ঠান শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিজাইনার অনামিকা খান্না বলেন, ‘করোনাকালে লকডাউনের সময় আমরা সবাই নানান অনুভূতি উপলব্ধি করেছি। অনেকে তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। ল্যাকমে ফ্যাশন উইকের মঞ্চে আমি এই সফরের কথা তুলে ধরেছি। আমি সন্ধান দিয়েছি এক সুন্দর সকালের। বৃষ্টির ধারায় সব রঙের মলিনতা ধুয়েমুছে সাফ করে আমি এক নতুন জীবন শুরুর পথ দেখিয়েছি।’

অনামিকা খান্নার সংগ্রহ। এই সংগ্রহ ছিল ল্যাকমে ফ্যাশন উইকের সুচনা রাতে
ছবি: ল্যাকমে ফ্যাশন ‍উইক

এই নামজাদা ডিজাইনার আরও বলেন, ‘কোভিডের কারণে আমার পক্ষে কাজ করা অনেক কঠিন ছিল। নানান প্রতিবন্ধকতা আমার সামনে ছিল। কারণ নানান স্থানে ছড়িয়ে আছে আমার কারিগরেরা। ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ায় (এফডিসিআই) গিয়ে আমি নানান আইডিয়া পাই। সবাই আমরা একসঙ্গে কাজ করি।’ তবে অনামিকা দারুণভাবে মিস করেছেন দর্শকের আবেগ ভরা স্পর্শ আর করতালি। আর র‍্যাম্পের সেই নাটকীয়তা। ল্যাকমে আগামী কয়েক দিনে আরও নানান ব্যতিক্রমী আয়োজন নিয়ে আসতে চলেছে।