২৭ বছরে রঙ বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গী হয়ে ২০ ডিসেম্বর ২৬ বছর পূর্ণ করেছে বাংলাদেশের শীর্ষ সারির ফ্যাশন ব্র্যান্ড রঙ বাংলাদেশ।

ছবি: রঙ বাংলাদেশ

২০১৫ সালে রঙ থেকে রঙ বাংলাদেশ হিসেবে যাত্রা শুরুর পর ৬ বছর পার করেছে বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিটি। বিশ্বব্যাপী মহামারিতে বেসামাল ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির অন্যদের মতোই রঙ বাংলাদেশও পার করছে দুঃসময়। এই পরিস্থিতি সত্ত্বেও রঙ বাংলাদেশ ইতিবাচকভাবেই ভাবতে চায়। কারণ, ২০২১ সাল বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। তা ছাড়া যাঁর কল্যাণে আমরা এ দেশ পেয়েছি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। দুটি মহান উপলক্ষ সামনে রেখে রঙ বাংলাদেশ আবার আশায় বলীয়ান হতে চায় বলে জানিয়েছেন রঙ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী সৌমিক দাস।

তিনি বলেন, প্রতিকূল সময় কাটিয়ে সমান উদ্দীপনায় রাঙাতে চায় সময়কে, যে ব্রত নিয়ে ২৬ বছর আগে শুরু হয়েছিল ৪ তরুণের স্বপ্নযাত্রা।
চার বন্ধু টুকটাক কাজ করতে করতেই ১৯৯৪ সালে ফ্যাশন হাউস ‘রঙ’-এর শুরু নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ার শান্তনা মার্কেটে ছোট্ট পরিসরে। দেশের ফ্যাশনপ্রিয় মানুষের ভালোবাসায় নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের অন্যত্রও শাখা বিস্তার হয়।

ছবি: রঙ বাংলাদেশ

২০১৫ সালে দুই ভাগ হয়ে যাওয়ার পরই শুরু হয় রঙ বাংলাদেশ। সূচনা দিনের প্রত্যয়েই রঙ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে প্রধান নির্বাহী সৌমিক দাসের নেতৃত্বে একঝাঁক নিবেদিতপ্রাণ কর্মীর নিরলস প্রচেষ্টায়। দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে রঙ বাংলাদেশ, জানিয়েছেন সৌমিক।

গত পাঁচ বছরে সময়ের সঙ্গে আরও বেড়েছে রঙ বাংলাদেশের পরিসর। শাখা ছড়িয়েছে দেশের নানা প্রান্তে। আউটলেটের সংখ্যা এখন ২৬। ঢাকার বাইরে বড় শহরগুলো ছাড়াও ছোট শহরেও পা রেখেছে রঙ বাংলাদেশ। এ ছাড়া ডিজিটাল উৎকর্ষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রঙ বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, নিজস্ব ই–কমার্স সাইট, ফেসবুক পেজসহ নানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। ফলে দেশ–বিদেশের ক্রেতারা ঘরে বসেই পাচ্ছেন সব সামগ্রী।

ছবি: রঙ বাংলাদেশ

মূল ব্র্যান্ড ছাড়াও রঙ বাংলাদেশের রয়েছে একাধিক সাব–ব্র্যান্ড। জ্যেষ্ঠদের জন্য শ্রদ্ধাঞ্জলি, তরুণদের জন্য ওয়েস্ট রঙ, ছোটদের জন্য রঙ জুনিয়র আর বাংলাদেশকে দেশ ও দেশের বাইরে পরিচিত করাতে আছে আমার বাংলাদেশ।
রঙ বাংলাদেশ বরাবরই থিম–নির্ভর কাজ করে থাকে। সেই ধারা অব্যাহত রেখেই এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সৌমিক দাস।

সৌমিক দাস আরও বলেন, রঙ বাংলাদেশ সব সময়েই পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখে। তবে করোনাকালে এই বিষয়কে আরও বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আউটলেট খোলার অনুমতি পাওয়ার পর প্রতিটি আউটলেটকে জীবাণুমুক্ত করার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কর্মচারীর সংখ্যা কমিয়ে এবং আউটলেটের পরিসর অনুযায়ী ক্রেতাসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। মানা হয় সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি।

ছবি: রঙ বাংলাদেশ

সৌমিক দাস আরও বলেন, রঙ বাংলাদেশ একান্তভাবে বিশ্বাস করে যাদের নিয়ে এবং যাদের জন্য এই সৃষ্টিযজ্ঞ, তারা সব সময়ের মতোই সঙ্গে থাকবেন। এই দুঃসময়েও তাদের যে সমর্থন পাওয়া গেছে, তাতে রঙ বাংলাদেশ অভিভূত ও কৃতজ্ঞ।
এ জন্য তাঁর বিশ্বাস সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই রঙ বাংলাদেশ-এর লিগ্যাসি টিকে থাকবে।