এমদাদ হকের হাতে বাঁধা পাগড়ি আর পাওয়া যাবে না

গতকাল প্রয়াত হয়েছেন দেশি ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় মুখ এমদাদ হক। চকবাজার শাহী মসজিদে জানাজা শেষে রাতেই বনানী কবরস্থানে বাবার কবরে সমাহিত করা হয় তাঁকে। নকশার সঙ্গে এই ডিজাইনারের ছিল দীর্ঘদিনের পথচলা। বিয়ের মৌসুম এলেই এমদাদ হকের কাছে নকশা টিমের অনুরোধ থাকত নতুন পোশাক দেওয়ার জন্য। তিনিও সানন্দে কাজে লেগে পড়তেন। বিশেষ করে বরের পোশাক। বরের শেরওয়ানির পাশাপাশি ফটোশুটের জন্য বিশেষভাবে পাগড়ি বেঁধে দিতেন এই ডিজাইনার। পাগড়ি বাঁধতে সাধারণত সাত গজ কাপড় ব্যবহার করলে ঠিকঠাক হবে বলে মনে করতেন এমদাদ হক। ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর অসুস্থতা নিয়েও নকশার একটি ফটোশুটের জন্য তিনি মডেল ইমরানকে বর সাজিয়েছিলেন। তাঁর হাতে বাঁধা চার পাগড়িতে বরের সাজ থাকছে এখানে

ছবি: সুমন ইউসুফ

রাজস্থানি

রাজস্থানি বিয়ের পাগড়িতে এক রঙের প্রাধান্য বেশি। সবুজ, কমলা, লাল রঙের কাপড় দিয়ে বাঁধা হয় পাগড়ি। রাজস্থানি পাগড়িতে পেখম থাকে। তবে এই পেখম হবে ছোট করে। রাজস্থানি পাগড়ির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো পাগড়ি থেকে এক প্রস্থ বাড়তি কাপড় কাঁধ বেয়ে নিচে নেমে যায়

ছবি: সুমন ইউসুফ

বেলুচ

বেলুচিস্তানের ঐতিহ্যবাহী পাগড়ির নাম বেলুচ। এই পাগড়ি সাধারণত একরঙা হয়। যেকোনো কাপড় দিয়েই তৈরি করা যায়। বেলুচ পাগড়ির প্রধান বৈশিষ্ট্য, কাপড়ের পেখম থাকে মাথায়। পাগড়ি বাঁধার সুবিধার জন্য প্রথমে পেখম বানিয়ে নিলে দ্রুত বেঁধে ফেলা যায়

ছবি: সুমন ইউসুফ

হায়দরাবাদি

হায়দরাবাদি পাগড়ি অতি উজ্জ্বল রঙের হয়। দুটি ভিন্ন রঙের কাপড় একসঙ্গে পেঁচিয়ে বাঁধা হয় পাগড়ি। অন্য পাগড়ি পাশ থেকে বাঁধা শুরু হলেও হায়দরাবাদি পাগড়ি বাঁধা শুরু করতে হয় মাঝখান থেকে। এই পাগড়ি সাধারণত মসলিন, সিল্ক, হাফ সিল্ক কিংবা সুতি কাপড়ের হয়। হায়দরাবাদি পাগড়িতে গয়নার ব্যবহারও থাকে বেশি