জলদস্যুর সাজে ক্যাম্পাসে হাজির কুয়েটের ৪২ শিক্ষার্থী
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের চমকপ্রদ কিছু ছবি প্রায় প্রতিবছরই আলোচনায় আসে। অভিনব উপায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ ক্লাস উদ্যাপন করাটা তাঁদের রীতি। শেষ দিনটা রাঙাতে একেকটি বিভাগ সাজে একেক রঙে-ঢঙে। মজার সাজপোশাকে শিক্ষার্থীদের ছবিগুলোই প্রতিবছর আলোড়ন ফেলে। এবার যেমন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে কুয়েটের ইলেকট্রনিকস ও কমিউনিকেশন প্রকৌশল (ইসিই) বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের একটি ছবি। পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান চলচ্চিত্রের মতো করেই ক্যারিবীয় জলদস্যুর সাজে হাজির হয়েছিলেন বিভাগের ৪২ জন শিক্ষার্থী।
১২ ফেব্রুয়ারি ছিল শেষ ক্লাস। বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের শেষ দিনে জলদস্যুর সাজ ধারণের ভাবনাটি আসে নাহিন শামসের মাথা থেকে। ইসিই বিভাগের এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘শেষ ক্লাস কোন থিম নিয়ে করা যায়, এটা নিয়ে আমরা “ইসিই ১৯” বেশ চিন্তিতই ছিলাম। কোনো কিছুই সবার মনমতো হচ্ছিল না। আকস্মিকভাবে একদিন আমার মনে হলো, ছোটবেলায় পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান সিনেমা দেখে ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো হতে কে না চেয়েছে! জলদস্যুদের মতো জাহাজে চড়ে সাগরের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়ানোর স্বপ্ন আমরা স্কুল-কলেজজীবনে লালন করেছি। এই ভাবনা থেকে আমি ও ইশতিয়াক আহমেদ সবাইকে মানানোর চেষ্টা করি।’
সাজের জিনিসপত্র কিনতে জনপ্রতি প্রায় আট শ টাকা খরচ হয়েছে। এ টাকায় কাপড় থেকে শুরু করে হ্যাট, ব্যান্ডেনা, তলোয়ার, দড়ি কিনতে হয়েছে নানা কিছু। সেদিন ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো রূপে হাজির হয়েছিলেন নাহিন শামস। অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন তিনি, ‘জ্যাক স্প্যারো সাজতে গিয়ে, ওর চরিত্র ধারণ করতে গিয়ে সারা দিন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। রাতে যখন কস্টিউম খুলছিলাম, তখন আগের দুই দিনের একাডেমিক ঝক্কি, উদ্যাপনের প্রস্তুতি—সবকিছু মিলিয়ে শরীর ভেঙে আসছিল। একই সঙ্গে রোমাঞ্চও হচ্ছিল খুব।’
এর আগে শেষ দিনগুলোর স্মারক হিসেবে শাড়ি-পাঞ্জাবি দিবস, ‘বঙ্গদেশী প্রকৌশলী: জন্ম যদি তব বঙ্গে’ (ছেলেরা লুঙ্গি ও মেয়েরা শাড়ি পরে এসেছিলেন), অন্তরীপে অন্তরীণসহ (র্যাগ ট্যুর) নানা আয়োজন ছিল কুয়েটে।