তিনিই ইমোজির আবিষ্কারক

শিগোতাকা কুরিতা
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

আমার মন খারাপ—তিন শব্দের একটা অর্থবহ বাক্যও কখনো কখনো ছোট্ট একটা ইমোজিতেই প্রকাশ করা যায়—: (। টেক্সট পাঠিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করার ক্ষেত্রে এভাবেই অনেক সময় আমরা ইমোজির ওপর নির্ভর করি। এই ইমোজি বিষয়টা কে আবিষ্কার করেছিলেন?

তাঁর নাম শিগোতাকা কুরিতা। ১৯৯৯ সালে এই জাপানি নকশাকার যখন প্রথম ইমোজি নিয়ে কাজ করেন, তখন তিনি ১৭৬টি ক্ষুদ্রাকার ছবি এঁকেছিলেন। মাত্র তিন কিলোবাইট জায়গা নেওয়া এই ছবিগুলোয় প্রকাশ পেয়েছিল নানা অনুভূতি। জাপানি টেলিকম প্রতিষ্ঠান এনটিটি ডোকোমোর জন্য কাজটি করেছিলেন শিগোতাকা। তিনি বলেন, ‘১২ পিক্সেলের (১৪৪টি ডট) মধ্যে ১৭৬টি ভাবনা ফুটিয়ে তুলতে হবে যাতে মানুষ, জায়গা, অনুভূতি—সবই থাকবে। সে কাজটিও করতে হবে মাত্র পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে। এ কথা শুনলে অধিকাংশ ডিজাইনারই বোধ হয় জ্ঞান হারাত।’

শিগোতাকা অবশ্য জ্ঞান হারাননি। নিজের অজান্তেই একটা নতুন ধারা চালু করে ফেলেছেন তিনি। ২০১১ সালে অ্যাপল তাদের আইওএস সিস্টেমের কি–বোর্ডে ইমোজি যোগ করে। তাদের দাবি, ইমোজি হলো পৃথিবীর ‘ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং ল্যাংগুয়েজ’। অর্থাৎ সবচেয়ে দ্রুত প্রভাব বিস্তার করা ভাষা। ২০১৩ সালে অক্সফোর্ড অভিধানেও ইমোজি শব্দটি জায়গা করে নেয়।

ইমোজি হলো পৃথিবীর ‘ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং ল্যাংগুয়েজ’
ছবি: সংগৃহীত

যে ভাষার প্রভাব এত, সেই ইমোজি শব্দটা কোন ভাষা থেকে এল? জাপানি। জাপানি ভাষায় ই-অর্থ ছবি, মো-অর্থ লেখা, এবং জি-অর্থ চরিত্র। সহজ করে বললে লেখা ও ছবিতে ফুটিয়ে তোলা চরিত্রই হলো ইমোজি।