পালক ছেলেকে নানি সব সম্পত্তি লিখে দিয়েছেন, মা কি আইনি পদক্ষেপ নিতে পারবে?

পাঠকের প্রশ্ন বিভাগে আইনগত সমস্যা নিয়ে নানা রকমের প্রশ্ন পাঠিয়েছেন পাঠকেরা। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মিতি সানজানা নির্বাচিত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন এবার।

উত্তর দিয়েছেন মিতি সানজানা

প্রশ্ন: আমার নানা–নানির দুই পালক সন্তান, তাঁদের মধ্যে বয়সে আমার মা বড়। সম্পর্কের দিক দিয়ে তিনি আমার নানির বোনের মেয়ে। নানির নামেই নানার সব সম্পত্তি। বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে আমার মাকে বঞ্চিত করে নানি তাঁর পালক ছেলের নামে সব সম্পত্তি লিখে দিয়েছেন। এই সম্পত্তির অধিকার চেয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কোনো অধিকার আমার মা রাখেন কি?

শাকিল, চট্টগ্রাম

উত্তর: শিশু দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আইনে কোনো বিধান নেই। ১৯৮৫ সালের পারিবারিক আইনের মাধ্যমে অভিভাবক হিসেবে একটি শিশুর দায়িত্ব নিতে পারেন কোনো ব্যক্তি। কোনো শিশুর অভিভাবকত্ব নিতে হলে অবশ্যই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিতে হবে। ১৮৭৫ সালের মাইনরিটি অ্যাক্টের ৩ ধারা অনুযায়ী ১৮ বছরের কম বয়সী কোনো শিশুকে ১৮৯০ সালের অভিভাবকত্ব ও পোষ্য (গার্ডিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্ডস অ্যাক্ট) আইনের ৭ ধারায় কাস্টডি নেওয়া সম্ভব। এ ক্ষেত্রে ১৯৮৫ সালের ফ্যামিলি কোর্ট অর্ডিন্যান্সের অধীনে এখতিয়ারভুক্ত পারিবারিক আদালতে আবেদন করতে হবে।

আপনার মা আপনার নানির পালক সন্তান। আপনি জানিয়েছেন, আপনার নানি আপনার মাকে বঞ্চিত করে আপনার মামাকে সম্পত্তি দান করেছেন। আপনার মামাও আপনার নানির পালক সন্তান। পালক সন্তানকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করলে আইনত কিছুই করার থাকে না। কারণ, মুসলিম আইনে দত্তক সন্তান সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হতে পারেন না। মুসলিম আইন অনুযায়ী উইলকে অসিয়ত বলে। সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক কোনো মুসলমান তাঁর অনাত্মীয়কে, অর্থাৎ যিনি তাঁর সম্পত্তির উত্তরাধিকার হবেন না, তাঁকে সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত অসিয়ত করতে পারেন।

পাঠকের প্রশ্ন, বিশেষজ্ঞের উত্তর

পাঠকের প্রশ্ন পাঠানো যাবে ই–মেইলে, ডাকে এবং প্র অধুনার ফেসবুক পেজের ইনবক্সে। ই–মেইল ঠিকানা: [email protected] (সাবজেক্ট হিসেবে লিখুন ‘পাঠকের প্রশ্ন’) ডাক ঠিকানা প্র অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা ১২১৫। (খামের ওপর লিখুন ‘পাঠকের প্রশ্ন’) ফেসবুক পেজ: fb.com/Adhuna.PA