এই গরমে ত্বকের যত্ন

রোজার এই সময় পানিশূন্যতা যেন না হয়, সে জন্য সবারই ইফতার থেকে সাহ্‌রি পর্যন্ত সময়ে বেশি পরিমাণে পানি পান করা উচিত। কমপক্ষে আট গ্লাস পানি পান করতে হবে।

দেশের বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস অবস্থা। এর মধ্যেই রোজা পালন করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। ফলে পানিশূন্যতা ও গরমে ত্বক বিবর্ণ হয়ে উঠছে, চুলেরও নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এ সময় কিছু নিয়ম মেনে চললে ত্বক ও চুল সজীব রাখা সম্ভব।

রোজার এই সময় পানিশূন্যতা যেন না হয়, সে জন্য সবারই ইফতার থেকে সাহ্‌রি পর্যন্ত সময়ে বেশি পরিমাণে পানি পান করা উচিত। কমপক্ষে আট গ্লাস পানি পান করতে হবে। খেতে হবে প্রচুর তাজা ফলমূলও। ইফতার ও সাহ্‌রিতে অবশ্যই শাকসবজি খাবেন। বেশি তৈলাক্ত ও মসলাযুক্ত, ভাজা ও শুকনা খাবার না খাওয়াই ভালো এ সময়। এতে শরীর আরও পানিশূন্য হয়ে পড়ে।

এই সময় অতিরিক্ত সাবান ও ক্লিনজার ব্যবহার না করা ভালো। অতিরিক্ত চা-কফি বা সোডা পান থেকেও বিরত থাকুন। অকারণে রোদে বের হবেন না। বাইরে যেতে হলে ছাতা বা রোদচশমা সঙ্গে রাখুন।

ঠোঁট শুকিয়ে গেলে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে পারেন। ত্বকেও ময়েশ্চারাইজার লাগান।

ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার

ইফতারে এক-দুটি খেজুর রাখুন। এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম আছে। এ ছাড়া পানিযুক্ত ফল যেমন তরমুজ, বাঙ্গি, শসা, স্ট্রবেরি, জাম ইত্যাদিও খান। চিনাবাদাম ও কাজুবাদামে স্বাস্থ্যকর ফাইবার ও ফ্যাটি অ্যাসিড আছে, যা ত্বকের জন্য ভালো।

কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস

পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করুন। চেষ্টা করুন যাতে রাতে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম হয়। রাত ১০টা থেকে ভোর ৩টা; আবার সাহ্‌রি খেয়ে ভোর ৪টা থেকে সকাল ৬-৮টা পর্যন্ত ঘুমান। রাতের ঘুম দিনের ঘুমের চেয়ে ভালো।

রোজা করলে এবং রোজার সময় স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বজায় রাখলে ত্বকের কিছু উপকারও আছে। এ সময় ত্বকের টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়, অ্যালার্জি ও একজিমার তীব্রতা কমে, ব্রণের তীব্রতাও কমে।

তবে গরমে ত্বক ঘামে বেশি, তৈলাক্ত হয়। কাজেই এ সময় পাতলা হালকা রঙের সুতি কাপড় পরুন। ত্বকে বেশি মেকআপ না করাই ভালো। ত্বক পরিষ্কার রাখুন। কড়া রোদে বের হলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। দরকার হলে দিনে দুবার গোসল করুন।