কৃমি থেকে শিশুকে কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন?

ভ্রান্তি এক: ‘শিশু ঘুমের মধ্যে দাঁত কিড়মিড় করে। তার মানে ওর পেটে কৃমি হয়েছে।’
ভ্রান্তি দুই: ‘শিশুটি খুব মিষ্টি খেতে পছন্দ করে। এ কারণেই তার পেটে কৃমি হয়েছে। কেননা চিনি খেলে পেটে কৃমি হয়।’
এ রকম আরও কত যে ভুল ধারণা আছে! আসলে কৃমি এসব কিছু থেকেই হয় না। কৃমি এক ধরনের পরজীবী, যা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও খাদ্যাভ্যাসের কারণে শিশুদের আক্রমণ করে।
আসুন জেনে নিই কৃমি হওয়ার কারণে শিশুরা কীভাবে ভোগে:
* পেটে কৃমি হলে শিশুর খাবারের প্রতি রুচি কমে যায়
* স্বাস্থ্য খারাপ হয়, ওজন বাড়ে না। কেননা সে যা খায়, তার এক-তৃতীয়াংশই কৃমি খেয়ে ফেলে।
* শিশু রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত হয়। একটা কৃমি প্রতিদিন শরীর থেকে শূন্য দশমিক ১ মিলিলিটার রক্ত শোষণ করে থাকে। কৃমির কারণে আমাদের দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ শিশু রক্তস্বল্পতায় ভুগছে।
তাহলে এই কৃমির সংক্রমণ থেকে শিশুকে বাঁচাতে কী করবেন?
* যেকোনো কিছু খাওয়ার আগে শিশুকে ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে। এই অভ্যাস শিশুর মধ্যে তৈরি করুন।
* টয়লেট ব্যবহারের পর অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন।
* পানি ভালো করে ফুটিয়ে পান করাবেন। সম্ভব হলে শিশুর তৈজসপত্র ফুটানো পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন।
* বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার শিশুকে খাওয়াবেন না।
* স্বাস্থ্যকর উপায়ে পরিষ্কার হাতে শিশুর খাবার তৈরি ও পরিবেশন করবেন এবং খাবার ঢেকে রাখবেন।
* নোংরা জায়গায় শিশু খালি পায়ে হাঁটবে না।
* দুই বছর বয়স থেকে প্রতি ছয় মাস পর পর শিশুকে কৃমির ওষুধ খাওয়ান। বাড়ির গৃহকর্মীসহ পরিবারের সবাই এই ওষুধ খাবেন।

অধ্যাপক তাহমীনা আক্তার
শিশু বিশেষজ্ঞ