কেন খাবেন আমন্ড?

ছবি: পেকজেলসডটকম

আমন্ড, যাকে অনেকেই কাঠবাদাম বলে চেনেন। মধ্যপ্রাচ্যের এই খাবার আমাদের দেশেও এখন বেশ সহজেই পাওয়া যায়। আমন্ড এমন একটি খাবার, যা কাঁচা বা রোস্ট করে খাওয়া যায়। বলা হয়, পৃথিবীতে চাষাবাদ শুরু হওয়ার পর একেবারে শুরুর দিকে আমন্ডগাছ লাগানো হতো। প্রত্নতাত্ত্বিকেরা প্রমাণ পেয়েছেন, প্রায় ৫০০০ বছর আগে জর্ডানে আমন্ড চাষ হতো। এতে আছে ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন ও ফাইবার। আমন্ড দিয়ে দুধ, মাখন, তেল, ময়দাসহ আরও অনেক ধরনের খাবারই তৈরি করা হয়।

ছবি: পেকজেলসডটকম

পুষ্টিগুণ

এক মুঠো আমন্ডে পাওয়া যায় ১৬৫ গ্রাম ক্যালোরি, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৩ দশমিক ৫ গ্রাম ফাইবার আর ১৪ গ্রাম ফ্যাট। কিন্তু ফ্যাট শুনেই ভয় পেয়ে যাবেন না। কারণ, আমন্ডে থাকা ফ্যাট শরীরের ক্ষতি না করে বরং উপকারই করে; যা হার্টের জন্যও ভালো।

খারাপ কোলেস্টেরল কমায়

আমন্ড আমাদের শরীরে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১/৩ কাপ আমন্ড খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

ছবি: পেকজেলসডটকম

ক্যালসিয়াম বাড়ায়

আমাদের প্রতিদিনের ব্যস্ততায় শরীরে দরকার হয় ক্যালসিয়ামের। এই প্রয়োজন মেটাতে পারে প্রায় সব ধরনের বাদামই। তবে আমন্ড সব থেকে বেশি ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে পারে। বলা হয়, ১ আউন্সে ৭০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।

ডেইরি খাবারের বিকল্প

অনেকেই সমস্যার জন্য দুধ বা ডেইরি খাবার খেতে পারেন না। তাঁরা সহজেই গরুর দুধের জায়গায় কাঠবাদামের দুধ খেতে পারেন। কাঠবাদামের দুধের ল্যাকটোজ ও কোলেস্টেরল নেই। তাই ডেইরি পণ্যে যে সমস্যাগুলো তৈরি হয়, তা আমন্ড থেকে হয় না।

ছবি: পেকজেলসডটকম

ফাইবারে ভরা

ফাইবার যে আমাদের শরীরের জন্য কতখানি জরুরি, তা আমরা সবাই জানি। হার্টের সমস্যা কমানো, ব্লাড সুগার কমানো কোলেস্টেরেল ঠিক রাখা ইত্যাদি কাজ করে ফাইবার। আর ২৩টি আমন্ড থেকে পাওয়া যায় ৩ দশমিক ৫ গ্রাম ফাইবার।

ওজন কমাতে

ওজন কমাতে আমরা অনেক উপায়ই ব্যবহার করে থাকি। আমন্ড খেয়েও কিন্তু ওজন কমানো যায়। অল্প কিছু আমন্ড খেলেই পেট লম্বা সময় ভরা থাকে। তাই বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে। আর আমন্ড শরীরের মেটাবলিজমকে প্রভাবিত করে, যা ওজন কমায়।

ছবি: পেকজেলসডটকম

ভালো ঘুম

ভালো ঘুম চাইলে বেশি বশি খেতে পারেন আমন্ড। আমন্ড মস্তিষ্কের সেরোটোটিন বাড়ায়। এটি বাড়লে রাতে ভালো ঘুম হয়। তাই দিনের বেলায় আমন্ড খেয়ে সেরো