আগুন লাগার মতো দুর্ঘটনা ঘটলে শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ রকম জরুরি পরিস্থিতিতে করণীয় সম্পর্কে সবারই জেনে রাখা উচিত। পোড়া ক্ষতের চিকিৎসা নিয়ে কয়েকটি পরামর্শ:
* শরীরে যদি আগুন ধরে যায়, যেকোনো কাপড় দিয়ে চাপা দিন। ভেজা কাপড় দিয়ে চেপে ধরতে পারলে ভালো। আগুন বেশি হলে মাটিতে গড়াগড়ি দিতে হবে।
* আগুন নিভে যাওয়ার পর শরীরের পুড়ে যাওয়া অংশে পানি ঢালতে হবে অন্তত আধা ঘণ্টা। ঠান্ডা পানি বা বরফ লাগানো জরুরি নয়। গরম হাঁড়ির স্পর্শে ত্বক পুড়ে গেলে অথবা শরীরে গরম তেল বা পানি লাগলেও আক্রান্ত স্থান একইভাবে পানিপ্রবাহের নিচে ধরে রাখতে হবে অন্তত আধা ঘণ্টা।
* ক্ষত সামান্য হলে অ্যান্টিসেপটিক মলম লাগিয়ে রাখতে পারেন। দিনে দু-তিনবার মলমের আবরণে ক্ষতস্থানটি ঢেকে রাখুন। সব ধরনের পোড়া ক্ষতে ব্যান্ডেজ লাগানোর প্রয়োজন হয় না। গোসলের সময় সাবান-পানি দিয়ে ক্ষতস্থান ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
* পোড়া ক্ষত বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ, ক্ষতস্থানের গভীরতার ওপর এসব রোগীর চিকিৎসা নির্ভর করে। অনেক সময় পোড়া স্থানে অস্ত্রোপচারেরও প্রয়োজন হয়।
* পোড়া রোগীর শ্বাসকষ্ট হলে বা রোগী অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
* যেকোনো পোড়া ক্ষত পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে না শুকালে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
* পোড়া ক্ষতে টুথপেস্ট, ডিম বা কোনো ভেষজ ওষুধ লাগানো যাবে না।
মো. নওয়াজেস খান
প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ ও বার্ন ইউনিট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: রক্তশূন্যতা হলেই কি সব সময় রোগীকে রক্ত দেওয়া উচিত?
উত্তর: রক্তশূন্যতা হলেই রোগীর শরীরে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন না-ও হতে পারে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বোঝা যাবে রক্তশূন্যতার ধরন ও কারণ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে শুধু খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, আবার কখনো কখনো ওষুধ সেবন করলেই রক্তশূন্যতা দূর হয়। শুধু কিছু নির্দিষ্ট ধরনের রক্তশূন্যতায় রোগীর শরীরে রক্ত দিতে হয়।
অধ্যাপক মো. মুজিবুর রহমান
মেডিসিন বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ