নিজের শরীর আর স্বাস্থ্য নিয়ে এখনো নারীরা অসচেতন। এখনো নিজেকে তাঁরা রাখেন অগ্রাধিকার তালিকার একদম শেষে। খুব বড় সমস্যা না দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া বা পরীক্ষা–নিরীক্ষা করতে সংকোচ করেন
মমতাজ বেগম যেদিন মাথা ঘুরে বাথরুমে পড়ে গিয়ে কোমরের হাড় ভেঙে ফেললেন, সেদিন হাসপাতালে তাঁর রক্তের সুগার আর রক্তচাপ দুটোই ছিল অনেক বেশি। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুগার আর রক্তচাপ মেপে অবাক—আপনি কি এগুলোর কোনো চিকিৎসা নেন না? উত্তরে লজ্জিত ভঙ্গিতে মমতাজ বেগম জানিয়েছিলেন, তিনি ডায়াবেটিসের জন্য নিয়মিত ইনসুলিন নিতেন, উচ্চ রক্তচাপের জন্য ওষুধও খেতেন দুটো, কিন্তু পাঁচ–সাত দিন ধরে নেওয়া হয় না। ইনসুলিন ওষুধ শেষ হয়ে গেছে এক সপ্তাহ আগে, মনে করে আনানো হয়নি। স্বামী বা সন্তানকেও বলতে ভুলে গেছেন! ভেবেছেন ওরা এত ব্যস্ত থাকে, ছুটির দিনে রয়েসয়ে বলা যাবে। এই সামান্য ব্যাপার নিয়ে বিরক্ত করা কি ঠিক হবে?
মমতাজ বেগমকে এরপর কোমরের হাড্ডি জোড়া দিতে বিরাট অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল, শয্যাশায়ী হয়ে থাকতে হয়েছিল তিন মাস। যে পরিবারের জন্য তিনি উদয়াস্ত পরিশ্রম করেন, স্বামীর ওষুধপথ্য নিয়মিত তদারকি করেন, চিকিৎসকের পরামর্শমতো সঠিক পথ্য, খাবার তৈরি করেন সবার জন্য, তাঁদেরই নিজের প্রয়োজনীয়তার কথা জানাতে সংকোচে ভুগছিলেন তিনি। শুধু এ কারণেই তাঁকে এতটা ভুগতে হলো।
রাজিয়া খানমও ষাটোর্ধ্ব বয়সে হঠাৎ আবার মাসিকের মতো রক্ত গেলে চমকে গিয়েছিলেন। এই পাট চুকেবুকে গেছে সেই কবে, মনেও পড়ে না এখন। কিন্তু এই লজ্জার কথা তিনি কাকে বলবেন? স্বামী নেই, থাকেন পুত্র-পুত্রবধূর সঙ্গে। মেয়েটাও থাকে বিদেশে। তিনি ভেবেছিলেন এসব ঠিক হয়ে যাবে নিশ্চয়, এখনই ঘটা করে বলার কিছু নেই। বিষয়টা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে যাওয়ার পর যখন ধরা পড়ল, তখন আর করার কিছু নেই। জরায়ুমুখ ক্যানসার সমস্ত তলপেটে ছড়িয়ে গেছে। র্যাডিক্যাল অপারেশন, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপির অসহ্য বেদনাদায়ক সময় পেরিয়ে বছরখানেকের মাথায় মারা যান তিনি।
ওপরের দুটিই রাজধানী শহরের সচ্ছল শিক্ষিত পরিবারের গল্প। গ্রামে বা অশিক্ষিত বা দরিদ্র নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের নারীদের অবস্থা সহজে অনুমেয়। নিজের শরীর আর স্বাস্থ্য নিয়ে এখনো নারীরা অসচেতন। এখনো নিজেকে তাঁরা রাখেন অগ্রাধিকার তালিকার একদম শেষে। খুব বড় সমস্যা না দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া বা পরীক্ষা–নিরীক্ষা করতে সংকোচ করেন। আছে ব্যক্তিগত শারীরিক বিষয়ে কথা বলার সংকোচ, পরিবারের ব্যয় বাড়ানোর জন্য সংকোচ, চিকিৎসকের কাছে গিয়ে খোলামেলা হওয়ার সংকোচ। আবার নারীদের যে শুধু নারীবিষয়ক রোগবালাই হয়, তা–ও তো নয়। পুরুষদের যেসব রোগ হয়, যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ বা কিডনি সমস্যা, তা হতে পারে তাঁদেরও। কিন্তু এমন অনেক নারীই আছেন, যাঁরা সন্তান ধারণ বা সন্তান জন্মদানের সময়টি ছাড়া জীবনে কোনো চিকিৎসকের কাছেই যাননি বা কোনো পরীক্ষাই করাননি!
কৈশোর
একটি মেয়ে যখন কৈশোরে পড়ে, তখন তার শরীর-মনে দেখা দিতে থাকে নানা পরিবর্তন। হরমোনের প্রভাবে স্তন বৃদ্ধি, মাসিকের আরম্ভ থেকে ওজন বৃদ্ধি, ত্বকের নানা সমস্যা, আবেগের সমস্যা—কত কিছু হতে পারে। এ সময় তারা নিজের শরীর নিয়ে ভয়াবহ সংকোচ আর সংকটে ভোগে। শুরুর দিকে অনিয়মিত মাসিক, মাসিকের সময় প্রচণ্ড ব্যথা, বমি, মাথা ঘোরা—এসব নিয়ে এমনকি মায়ের সঙ্গেও কথা বলতে দ্বিধা। কিন্তু এই বয়সে একটি মেয়ের পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম, থাইরয়েডের সমস্যা, এন্ডোমেট্রিওসিস, মাইগ্রেনসহ নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। মাসিকের সময় পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন না করলে হতে পারে সংক্রমণ। তাই কিশোরীর যেকোনো শারীরিক সমস্যায় নিঃসংকোচে চিকিৎসা নেওয়ার পরিবেশ তৈরিতে পরিবারের সবার লক্ষ রাখা উচিত। হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি, ত্বকে ব্রণের অতিরিক্ত প্রাদুর্ভাব, অনিয়মিত মাসিক ইত্যাদি হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। অতিরিক্ত আবেগপ্রবণতা, বিষণ্নতা, প্যানিক বা ফোবিয়ার মতো সমস্যা এ বয়সে হতে পারে, দরকার হলে মনোচিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। কেউ কেউ অতিরিক্ত ডায়েট বা অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার সমস্যায়ও ভোগে। কেউ রক্তশূন্যতা বা অপুষ্টিতে ভোগে।
প্রজননকাল
আজকাল প্রি–কনসেপশনাল চেকআপ জনপ্রিয় হচ্ছে। বিয়ের পর এবং সন্তান নেওয়ার আগে নিজের শারীরিক চেকআপের নামই হলো প্রি–কনসেপশনাল চেকআপ। এ সময় কারও উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস আছে কি না, থাইরয়েড হরমোনের অবস্থা কেমন ইত্যাদি দেখে নিতে হবে। কারণ, এই বিষয়গুলো একটি সুস্থ প্রজননে প্রভাব ফেলে। অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা থাকলে কারণ খুঁজে দেখতে হবে। মাইনর থ্যালাসেমিয়া বা মাইনর ট্রেইটগুলো অনেক সময় সন্তান হওয়ার সময়ই ধরা পড়ে। যদি জেনেটিক রক্তরোগ থাকে, তবে স্বামীর পরীক্ষা করাটাও জরুরি। অনেকেরই অতিরিক্ত ওজন বা অতি কম ওজনের সমস্যা আছে, সন্তান নেওয়ার আগেই যা ঠিক করা জরুরি। হেপাটাইটিস বি টিকা না দেওয়া থাকলে টাইটার (অ্যান্টিবডি টেস্ট) দেখে টিকা নিয়ে ফেলা উচিত। যদি কারও আগে থেকে হাঁপানি, মৃগীরোগ, বাতরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগের মতো কোনো রোগ থাকে এবং তার জন্য ওষুধ সেবন করে থাকেন, তবে সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করার আগেই সেই রোগগুলোর সঠিক নিয়ন্ত্রণ জরুরি। সেই সঙ্গে নিয়মিত ওষুধগুলো গর্ভকালে নিরাপদ কি না, নাকি পরিবর্তন দরকার, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের মতামত নিতে হবে।
গর্ভকালীন পূর্ব পরিকল্পনা ও চেকআপ সমাধার পর সন্তান নেওয়ার চেষ্টায় কোনো ব্যাঘাত ঘটলে, যেমন টানা এক বছর চেষ্টার পরও গর্ভধারণ না হলে, গর্ভধারণ করার পর মিসক্যারেজ বা গর্ভপাত হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কারণ বের করতে হবে। গর্ভধারণ করার পর নিয়মিত অ্যান্টিনাটাল চেকআপ, নিয়মিত টিকাগুলো নেওয়া এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ধাপে নানা পরীক্ষা করা দরকার। অবশ্যই প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব সবারই করা উচিত। প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব বা হসপিটাল ডেলিভারি মানেই সিজার নয়। গর্ভকালীন সময়ে রক্তচাপ বা সুগার বাড়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে, হতে পারে প্রস্রাবে সংক্রমণ বা অন্যান্য সংক্রমণ—এসবের দ্রুত ও সতর্ক নিয়ন্ত্রণ জরুরি। মনে রাখতে হবে যে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারী কোনো ক্রমেই নিজে নিজে কোনো ওষুধ খাবেন না। সব ওষুধ এ সময় নিরাপদ নয়।
মেনোপজের পর মেয়েদের নানা রোগের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। বিশেষ করে হৃদ্রোগের ঝুঁকি। হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, রক্তচাপ, চর্বি ও শর্করার সুনিয়ন্ত্রণ জরুরি। এ সময় নিজের দিকে আরও বেশি করে মনোযোগ দিতে হবে
অন্তঃসত্ত্বা ও প্রসব–পরবর্তী সময় মেয়েদের কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, আরও পরে এ থেকে জরায়ু নিচে নেমে আসা বা প্রলাপস, পাইলসের মতো সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই ছোটখাটো সমস্যাগুলোও পুষে রাখা উচিত নয়। অন্তঃসত্ত্বা ও ব্রেস্ট ফিডিংয়ের সময় সঠিক পুষ্টি ও ভিটামিন সাপ্লিমেন্টগুলো দরকার। প্রসবের পর বা সিজারের পর যেন সংক্রমণ না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকা উচিত। অনেক নারীই প্রসবের পর মানসিক জটিলতায় ভোগেন, পোস্ট পারটাম ডিপ্রেশন বা সাইকোসিস খুবই পরিচিত সমস্যা। এগুলোর সঠিক চিকিৎসা না হলে বিপদ ঘটতে পারে।
প্রসবকালীন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস থাকলে প্রসব–পরবর্তী ৬-১২ সপ্তাহের মধ্যে চিকিৎসকের কাছে ফলোআপ জরুরি। এই রোগগুলো সেরে যেতে পারে, আবার না–ও পারে। থাইরয়েড ও অন্যান্য নিয়মিত ওষুধগুলোরও প্রসব–পরবতী ৬-১২ সপ্তাহের মধ্যে নতুন অ্যাডজাস্টমেন্টের দরকার হবে। তাই সন্তান হয়ে গেলেই তাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লে চলবে না। নিজের শরীরের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
দুগ্ধদান করাতে গিয়ে স্তনে ফোঁড়া, সংক্রমণ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। প্রসব–পরবর্তী সময়ে প্রস্রাবে সংক্রমণ, সিজারের ঘায়ে সংক্রমণ, অ্যানিমিয়া হতে পারে। পরবর্তী সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা এবং এই মধ্যবর্তী সময়ে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কী হবে, তা–ও চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত।
এই বয়সে বারবার প্রস্রাবে সংক্রমণ, জরায়ুর প্রলাপস, পাইলস, মূত্রথলির টোন নষ্ট হওয়া খুবই স্বাভাবিক। পুরুষদের মতো তাঁরও হতে পারে ডিমনেশিয়া বা স্মৃতিভ্রমের মতো সমস্যা
মধ্যবয়স
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একজন পুরুষের মতো একজন নারীরও কিছু রোগের ঝুঁকি বাড়ে। যেমন উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ, রক্তে চর্বির আধিক্য, ফ্যাটি লিভার, ডায়াবেটিস ইত্যাদি। তাই ৪০-এর পর রুটিন চেকআপগুলো পরিবারের পুরুষ ও নারী সদস্য—উভয়ের জন্যই জরুরি। বছরে একবার রক্তে শর্করা বা চর্বি পরীক্ষা, কিডনি বা প্রস্রাবে আমিষের উপস্থিতি পরীক্ষা, নিয়মিত চোখ বা দাঁত পরীক্ষা করার বিকল্প নেই। একই সঙ্গে বয়সের সঙ্গে নারীদের অস্টিওআর্থ্রাইটিস, অস্টিওপোরেসিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস জাতীয় রোগ বেশি হয়। ব্যথা-বেদনা, সন্ধি ফোলা তো বয়সের সঙ্গে হতেই পারে—এমনটা ভেবে অবহেলা করা যাবে না।
৪০-এর পর হঠাৎ ওজন হ্রাস, রক্তশূন্যতা, অরুচি, পেটব্যথা, হজমের গোলমাল হলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। পাকস্থলী বা কোলন ক্যানসারের মতো রোগ কেবল পুরুষদেরই হয় না, নারীদেরও হতে পারে। তবে নারীদের জন্য বিশেষভাবে স্তন ক্যানসার ও জরায়ুমুখ ক্যানসারের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। নিয়মিত নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করা, নিয়ম অনুযায়ী বছরে বা তিন বছরে একবার স্তনের আলট্রাসনোগ্রাফি বা ম্যামোগ্রাফি, নিয়ম করে প্যাপস স্মিয়ার টেস্ট বা ভায়া টেস্ট করা জরুরি। মেয়েদের মধ্যে বিশেষ করে যাঁরা পান, জর্দা, গুল খান, তাঁদের মুখের ক্যানসারও একটা পরিচিত সমস্যা। মুখে কোনো ঘা হলে দ্রুত তার চিকিৎসা দরকার।
মেনোপজের পর মেয়েদের নানা রোগের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। বিশেষ করে হৃদ্রোগের ঝুঁকি। হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, রক্তচাপ, চর্বি ও শর্করার সুনিয়ন্ত্রণ জরুরি। এ সময় নিজের দিকে আরও বেশি করে মনোযোগ দিতে হবে। হট ফ্লাশ হলে তার চিকিৎসা বিদ্যমান, এ নিয়ে ভোগার দরকার নেই। এ সময় দেখা দিতে পারে নানা মানসিক জটিলতাও। মানসিক রোগও শারীরিক রোগের মতোই অসুস্থতা। এর চিকিৎসা নিতে লজ্জার কিছু নেই।
বার্ধক্য
বয়স্ক নারীদের জন্য অস্টিওপরোসিস ও হাড় ভাঙা একটি বড় সমস্যা। অস্টিওপরোসিস শনাক্ত করার পরীক্ষা হলো বোন মিনারেল ডেনসিটি, চিকিৎসক সন্দেহ করলে তা করতে পারেন। শনাক্ত হলে এর সুচিকিৎসাও আছে। অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর জীবনাচরণ, ব্যালান্স এক্সারসাইজ এবং ক্যালসিয়াম ভিটামিন ডি গ্রহণ করা যায়।
এ ছাড়া যেকোনো বয়স্ক পুরুষের মতো বয়স্ক নারীরও স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। রক্তচাপ, শর্করা, ওজন ও চর্বি নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে এই ঝুঁকি কমানো যায়। নারীদের বিশেষ ধরনের ক্যানসারের পাশাপাশি অন্যান্য ক্যানসার (যেমন ফুসফুস, পাকস্থলী, কোলন) হতে পারে। তাই মেয়েলি উপসর্গ ছাড়াও যেকোনো মন্দ উপসর্গ দেখা দিলেই সতর্ক হওয়া উচিত। এই বয়সে বারবার প্রস্রাবে সংক্রমণ, জরায়ুর প্রলাপস, পাইলস, মূত্রথলির টোন নষ্ট হওয়া খুবই স্বাভাবিক। পুরুষদের মতো তাঁরও হতে পারে ডিমনেশিয়া বা স্মৃতিভ্রমের মতো সমস্যা। তাই পরিবারে বয়স্ক নারীটির বিশেষ যত্ন ও খেয়াল দরকার।