পায়ের আঙুলের ফাঁকে ছত্রাকের সংক্রমণ

গরমে পায়ের আঙুলের ফাঁকে প্রায়ই ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটে। আঙুলের ফাঁকগুলো লাল হয়ে যায়, প্রচণ্ড চুলকায়। কখনো ফুসকুড়ির মতো হয়, আবার কখনো ত্বক ফেটে যায়। জ্বালাও করে। একে টিনিয়া পেডিস বা অ্যাথলেট‌স ফুট বলে। এটি সংক্রামকও। অর্থাৎ একজনের থেকে অন্যজনে ছড়ায় এটি।

যাঁদের হয়

গরমকালে ও আর্দ্র স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় ছত্রাকের সংক্রমণ বেশি হয়। যাঁদের পা সব সময় ভেজা থাকে, তাঁদের বেশি হয়। পুরুষেরাই এ সমস্যায় ভোগেন বেশি। একই মোজা বারবার পরা, সারা দিন আঁটসাট জুতা পরার কারণে পা ঘামা ইত্যাদি কারণে ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটে। সংক্রমিত ব্যক্তির কাপড়, মোজা, তোয়ালে, বিছানা ব্যবহার করলে অন্য ব্যক্তিও আক্রান্ত হন। আবার যেসব জায়গায় মানুষের সচরাচর যাতায়াত রয়েছে, এমন জায়গায় খালি পায়ে হাঁটলে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

যা করবেন

  • সারা দিন জুতা–মোজা পরে থাকলে বাড়ি ফিরেই খালি পায়ে বাতাস লাগতে দিন। খুব আঁটসাঁট জুতা পরবেন না। সুতি মোজা পরবেন, যাতে পা না ঘামে। প্রতিদিন ব্যবহারের পর মোজা ধুয়ে ভালো করে রোদে শুকাতে হবে।

  • প্রতিবার অজু বা গোসলের পর বা পা ভিজে গেলে ভালো করে তোয়ালে বা গামছা দিয়ে চেপে পানি শুকিয়ে নিন।

  • অন্যের জুতা পরবেন না। একেক দিন একেক জুতা ব্যবহার করতে পারলে ভালো।

  • খালি পায়ে যেখানে–সেখানে কিংবা নোংরা জায়গায় হাঁটবেন না।

  • নখ দিয়ে চুলকাবেন না। এতে হাতও সংক্রমিত হবে।

  • চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টি–ফাঙ্গাল পাউডার বা মলম ব্যবহার করতে পারেন।

  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সচেষ্ট হন।

  • বেশি চুলকালে কিংবা সংক্রমণ ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

  • শরীরের অন্য জায়গায় (যেমন হাতে বা গোপনাঙ্গে) ছত্রাকের সংক্রমণ ছড়ালে চিকিৎসা করুন।