প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘরে ঘরে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছে ‘মিলভিক’

চলতি বছর বাংলাদেশে ১০ বছর পূর্ণ করল বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মিলভিক। সুইডিশ এ প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারতসহ বিশ্বের ১০টি দেশে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে থাকে। বিশ্বজুড়ে ১০ কোটির বেশি গ্রাহক মিলভিকের সেবার অন্তর্ভুক্ত। শুধু বাংলাদেশেই ৪০ লাখের বেশি মানুষ তাদের সেবা গ্রহণ করেছেন।

২০১২ সালে বাংলাদেশে মিলভিকের যাত্রা শুরু হয়েছিল মোবাইল অপারেটর রবির ‘রবি বিমা’ সেবার সঙ্গে। গ্রাহকের পেমেন্টকে সহজ করতে ২০১৯ সালে মোবাইল ওয়ালেট বিকাশ ও মিলভিক বাংলাদেশ চুক্তিবদ্ধ হয়। ফলে খুব সহজে ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে মিলভিকের সেবা গ্রহণ করতে পারেন গ্রাহকেরা। এ পর্যন্ত ১১ লাখের বেশি মানুষ মিলভিক টেলি-ডাক্তার পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। টেলি-মেডিসিন ছাড়াও মিলভিক বিনা মূল্যের বেসিক হেলথ চেকআপের ব্যবস্থা করে থাকে, যার মাধ্যমে গ্রাহকেরা নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও সচেতন হন। গ্রাহকদের স্বাস্থ্যভিত্তিক খরচের ক্ষেত্রে তারা ওষুধের খরচ, ডাক্তারের ভিজিট, ডায়াগনস্টিক টেস্ট এবং হাসপাতালের ভর্তি খরচ—এ চার ধরনের ক্যাশব্যাক সুবিধার ব্যবস্থা করে থাকে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে মিলভিকের তিন শর বেশি সহযোগী হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গ্রাহকেরা ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করে থাকেন।

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে এ সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছেন মিলভিকের পাঁচ শতাধিক কর্মী। সম্প্রতি মিলভিকের বার্তা ও সেবাকে সব পর্যায়ের গ্রাহকের কাছে তুলে ধরার জন্য ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যুক্ত হয়েছেন ক্রিকেট-তারকা তামিম ইকবাল। ২০২২ সাল থেকে ‘নতুন যুগের স্বাস্থ্য প্ল্যান’ বার্তাটি সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মিলভিকের সঙ্গে কাজ করছেন তামিম।

মিলভিকের গ্লোবাল সিইও গুস্তাভ আগার্টসন বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবায় প্রযুক্তিই ভবিষ্যৎ। এ লক্ষ্যেই মিলভিক প্রথম থেকেই ডিজিটাল মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে একটি সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আসার জন্যে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চাই বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবারের কাছে এ সেবাটি সুলভে ও সহজে পৌঁছে যাক।’

গ্রাহকদের আরও সহজে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা উপভোগ নিশ্চিত করতে ‘মিলভিক হেলথ প্লাস’ অ্যাপ নিয়ে এসেছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে রয়েছে হেলথ রিওয়ার্ড সুবিধা, যার বিনিময়ে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা পণ্য, যেমন ওষুধ ও স্বাস্থ্য-সম্পূরক পণ্য কিনতে পারবেন। ফলে গ্রাহকেরা সাশ্রয় করতে পারবেন নিজেদের স্বাস্থ্য খরচ।

বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ শুধু মোবাইল ব্যবহার করেই স্বাস্থ্য সুবিধা পাচ্ছেন, এমন স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলছে মিলভিক। ভবিষ্যতে হেলথ প্লাস অ্যাপের মতো নতুন প্রযুক্তিভিত্তিক সেবা বাংলাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই মিলভিকের লক্ষ্য।