রাত যখন নির্ঘুম

সারা রাত এপাশ-ওপাশ। চোখে ঘুম নেই। এই অনিদ্রার পরিণাম অবসাদ আর বিষণ্নতা। হারিয়ে যায় প্রাণচাঞ্চল্য, আগ্রহ, উদ্দীপনা আর হাসিমুখ। সুস্বাস্থ্যের জন্য রাতের নিশ্চিন্ত আর নিশ্ছিদ্র ঘুম খুব জরুরি।
হৃদ্রোগ, শ্বাসকষ্ট, স্নায়বিক বা মানসিক সমস্যার কারণেও রাতে ঘুমের অভাব হতে পারে। তবে ঘুমের উপযোগী প্রকৃত পরিবেশ ও যথাযথ প্রস্তুতি না থাকার ফলেই বেশির ভাগ মানুষ অনিদ্রায় ভোগেন। জেনে নিন, চমৎকার ঘুমের জন্য কী কী প্রস্তুতি প্রয়োজন—
 রাত নয়টার মধ্যে টেলিভিশন দেখা, কম্পিউটারে কাজ করা, ফেসবুকিং ইত্যাদি শেষ করুন। এরপর রাতের খাবার খেয়ে নিন। পরিমিত খাবেন। ভরপেট খেলে অস্বস্তি হতে পারে। শোবার ঘরে টেলিভিশন রাখবেন না। বিছানায় শুয়ে সেলফোন, ফেসবুক ব্যবহার চলবে না।
 বিকেল পাঁচটার পর চা বা কফি পান করবেন না। সিগারেট বর্জনীয়।
 বিকেলবেলা আধা ঘণ্টা হাঁটতে পারেন। এমনভাবে হাঁটুন, যেন শরীরটা ঘামে।
 সন্ধ্যাবেলা ভালোভাবে মুখ ও হাত-পা ধুয়ে নিন।
 কাজের পরিকল্পনা, পরদিনের চিন্তাভাবনা, টুকটাক কাজকর্ম ইত্যাদি সেরে রাখুন সন্ধ্যাতেই।
 বিছানায় পরিষ্কার চাদর বিছিয়ে রাখুন। একটা নরম বালিশ ব্যবহার করুন।
 ঘুমানোর সময় বরং হাতের কাছে একটি বই রাখতে পারেন। বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়া ভালো। পড়ার সময় ঘুম ঘুম ভাব এলে আলো নিভিয়ে দিন।
 রাত ১০টার পর গান শুনবেন না। তবে চাইলে হালকা ধাঁচের কোনো গান বাজাতে পারেন।
 রাত ১০টার পর মুঠোফোন, ল্যাপটপ কম্পিউটার, ট্যাবলেট, আইপ্যাড ইত্যাদি কোনো শেলফ বা ড্রয়ারে ঢুকিয়ে রাখতে পারেন।
 ঘরে তাজা ফুল রাখতে পারেন। ফুলের সুবাসে ঘুম ভালো হয়।

প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: ফিডার ব্যবহার করলে কি শিশুর মুখে ঘা হতে পারে?
উত্তর: ফিডার, প্যাসিফায়ার ইত্যাদি ব্যবহারের কারণে শিশুর মুখে ছত্রাক সংক্রমণের মাধ্যমে ঘা হতে পারে। আর যেসব শিশু ফিডারে অভ্যস্ত এবং মায়ের দুধ খায় না, তাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও কম। তাই ফিডার থেকে মুখে সংক্রমণ অস্বাভাবিক নয়।
ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী
বিভাগীয় প্রধান, শিশুরোগ বিভাগ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ