শিশুদের বাতের ব্যথা

.
.

আহমেদ, ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগ, বিএসএমএমইউ
শিশুদেরও কি বাতরোগ বা ব্যথা হতে পারে? হাত, পা বা বিভিন্ন অস্থিসন্ধির ব্যথা নিয়ে প্রায়ই শিশুদের মা-বাবা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে থাকেন।
প্রদাহজনিত ব্যথা—যেখানে অস্থিসন্ধি ফুলে যায়, তীব্র ব্যথা হয় এবং নড়াচড়া করলেই বাড়ে। ৭ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের এটা বেশি হয়। ১৬ বছর বয়সের আগে এ ধরনের বাতের ব্যথার কারণ খুঁজে পাওয়া না গেলে তাকে জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রাইটিস বলা হয়। এসব রোগের চিকিৎসা যেমন দীর্ঘমেয়াদি, তেমনি জটিলতাও অনেক। আবার অস্থিসন্ধি ফুললেই যে তা আর্থ্রাইটিস তা না-ও হতে পারে। একইভাবে নানা বিচিত্র কারণে শিশু-কিশোরদের হাত-পা কামড়ানো, সন্ধি বা হাড়ে ব্যথা হতে পারে। চাইল্ডহুড সফট টিস্যু নিউমাটিজম, জুভেনাইল ফাইব্রোমায়ালজিয়া এমনকি অতিরিক্ত ভার বহন, মানসিক আঘাত—এসব কারণেও শিশুরা শরীরে ব্যথার কথা বলে। আবার শিশুদের সন্ধি বা হাড়ে ব্যথা হলেই বাতজ্বরের ইনজেকশন দেওয়া হয়—এটাও ঠিক নয়। কেননা, বাতজ্বর সঠিকভাবে নিশ্চিত হতে আরও কিছু উপসর্গ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হয়।
শহুরে শিশুরা খেলাধুলা করে কম, শারীরিক শ্রমও কম। সূর্যের রোদের অভাব আর অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে ভিটামিন ডি-এর অভাব হয়। এতে শিশুর পেশি বা হাড়ে ব্যথা হতে পারে। কম্পিউটার, মুঠোফোন, ল্যাপটপ ইত্যাদি বেশি ব্যবহারের কারণে ঘাড়, কোমর বা শরীরে ব্যথা হতে পারে।
শিশু বা কিশোর বয়সে তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কোনো ব্যথা হলে বা এমন ব্যথা যা ওষুধে সারছে না, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন এবং বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা নিন। হেকিমি, ঝাড়ফুঁক, কবিরাজি বা শুধু ফিজিওথেরাপি দিয়ে চিকিৎসা চলবে না। নিয়মিত খেলাধুলা, সাইকেল চালানো, দৌড়াদৌড়ি ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস শিশুদের সুস্থ হাড় ও সন্ধি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

 

স্বাস্থ্যবটিকা ® ব্রোন স্মিথ

শারীরিক ব্যায়াম করলে স্মৃতিভ্রম বা আলঝেইমারস নামের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, শরীরচর্চা করে আলঝেইমারসের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে।

স্বাস্থ্যবটিকা’র লক্ষ্য রোগনির্ণয় গোছের কিছু নয়

প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন: মাছের মুড়ো খাওয়া কি স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ?

উত্তর: বড় মাছের মুড়ো, চিংড়ির মাথা ইত্যাদিতে কোলেস্টেরল বা ক্ষতিকর চর্বি আছে। তাই মাছ বা মাছের তেল খারাপ না হলেও ওজনাধিক্য বা চর্বির আধিক্য আছে এমন ব্যক্তিরা এগুলো না খাওয়াই ভালো।

আখতারুন নাহার

 পুষ্টিবিদ