পাঁচ মাস বয়স পর্যন্ত শিশু যদি বুকের দুধের ওপর নির্ভরশীল হয় এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ গ্রহণ করে, তবে তার কোষ্ঠবদ্ধতা বাস্তবে হয় না বললেই চলে। যেসব শিশুকে ফর্মুলা খাবারে অভ্যস্ত করে তোলা হয়, তাদের কারও কারও কোষ্ঠবদ্ধতা থাকতে পারে, তবে তা-ও খুব বেশি নয়।
শিশু কোষ্ঠবদ্ধতায় ভুগছে কি না, তা নির্ভর করে মলের প্রকৃতির ওপর এবং তা কেমন শক্ত সেটিই গুরুত্বপূর্ণ, কতবার হলো তা নয়। যদিও এক বছরের কম বয়সী শিশুদের বেশির ভাগই দিনে এক বা তারও বেশিবার মল ত্যাগ করে থাকে, আবার কেউ কেউ প্রতি ৩৬-৪৮ ঘণ্টায় মাত্র একবার মল ত্যাগ করে, যার দুটোই স্বাভাবিক। কিন্তু জন্ম থেকে বা তার পরপরই কোনো শিশু অতিরিক্ত কোষ্ঠবদ্ধতায় ভুগলে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
যে শিশু ফর্মুলা খাবারে অভ্যস্ত, তার কোষ্ঠবদ্ধতার কারণ মূলত দুটি। হয়তো সে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাচ্ছে না, নয়তো খাবারে জলীয় ভাগের পরিমাণ কম। অন্যান্য ক্ষেত্রে তা ঘটে থাকে যদি খাবারে চর্বি ও আমিষের মাত্রা অত্যধিক থাকে। অতিরিক্ত তেল-চর্বিযুক্ত খাবার বা ফাস্টফুড অনেক সময় শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
প্রতিকার
* খাবার খাওয়ানোর সময় জলীয় ভাগের পরিমাণ কিছুটা বাড়িয়ে দিলে সুফল পাওয়া যায়। এ ছাড়া শিশুকে দিতে হবে পর্যাপ্ত পানি।
* একটু বয়স বাড়লে শিশুর খাবারে যথেষ্ট শাকসবজি ও ফলমূল জোগান দিয়ে সমস্যার সমাধান মেলে। কেউ ফলের রস মিশিয়ে নেন কিন্তু গোটা শাকসবজি ও ফলমূল থেঁতো করে দেওয়াই সবচেয়ে ভালো।
* এনেমা বা সাপোজিটরি ইত্যাদিতে সাময়িক লাঘব হলেও এগুলো দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা করা ঠিক নয়।
* কোনো কিছুতে কাজ না হলে বা চরম কোষ্ঠবদ্ধতা দেখা দিলে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ