খাবার নিয়ে পরামর্শ
■ জলবসন্ত হলে শিশুকে দিনে অন্তত আট গ্লাস পানি পান করাতে হবে।
■ দ্রুত দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে শিশুকে বেশি করে পুষ্টিকর খাবার খেতে দিতে হবে। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, সবজি—সবই খাওয়ানো যেতে পারে।
■ জলবসন্তে আক্রান্ত শিশুকে আলু ভর্তা, লাউ, মুরগির মাংস, কবুতরের মাংস, শিং মাছের তরকারি খেতে দিতে হবে। করলা, লাল চা, গরম মিষ্টি আক্রান্ত শিশুর জন্য উপকারী। তবে এ সময় শিশুকে মসুর ডাল, গরুর মাংস ও বেগুন না খাওয়ানো ভালো। এতে শরীরে চুলকানি বাড়তে পারে।
■ জলবসন্তে আক্রান্ত শিশুকে চকলেট, বাদাম ও বীজজাতীয় খাবার না খাওয়ানো ভালো। মুখের তালু ও অভ্যন্তরে গুটি দেখা দিলে, ঝাল খাবার এড়িয়ে যেতে হবে।
■ হাম হলে শিশুকে হালকা ও সহজপাচ্য তবে পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে।
■ একেবারে ছোট শিশুর মায়ের দুধপান বন্ধ করা যাবে না। তুলনামূলক বড় শিশুকে ভাত, ডাল, সবজি, স্যুপ, দুধ, মাছ, ডিম, ফলের রস—সবই খাওয়াতে হবে।
■ অসুস্থতার কারণে শিশু খেতে না চাইলেও বারবার অল্প অল্প করে খাওয়াতে হবে। বারবার একই খাবার না দিয়ে খাবারে বদল আনুন।
■ জলবসন্ত ও হামে আক্রান্ত শিশুকে ছানার সন্দেশ, রসগোল্লা, পুডিং কিংবা কাস্টার্ড খাওয়ানো যেতে পারে। কোনো অবস্থাতেই স্বাভাবিক খাবার বন্ধ রাখা যাবে না। যত ভালো খেতে পারবে, শিশুর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা তত বাড়বে। শিশু দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
আগামীকাল পড়ুন: নবজাতকের খিঁচুনি হলে