পরিবেশ ও সতর্কতা
আনন্দদায়ক পরিবেশ শিশুকে খাবার গ্রহণের সহায়ক। যেমন পরিবারের সবাই মিলে যদি একসঙ্গে খেতে বসে, তাহলে সবার সঙ্গে সে–ও হাসিখুশির সঙ্গে আহারে যোগ দেয়।
শিশু যখন সজাগ থাকে, তখন তাকে খাবার দেওয়া উচিত। তার খাবারের বাটি যেন আলাদা করে রাখা হয়।
শিশুকে খাবার দেওয়ার আগে তার জন্য তৈরি খাবার ও খাবার পরিবেশন নিরাপদ আছে কি না, তা নিশ্চিত হতে হবে। শিশুর নিজের ও যত্নকারীর হাত ভালোমতো সাবানপানিতে ধুয়ে পরিষ্কার রাখা, পরিচ্ছন্ন বাসনকোসন ব্যবহার করার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
পানি নিরাপদ ও বিশুদ্ধ করতে ১০-১৫ মিনিট ভালোভাবে ফুটিয়ে তারপর ঠান্ডা করে নিতে হবে।
রান্না করা খাবার পারতপক্ষে দুই ঘণ্টার মধ্যে খাওয়ানো ভালো। তা না করা গেলে খাবার ৬০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের ওপর গরম করে অথবা রেফ্রিজারেটরে ১০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নিচে রেখে নিরাপদ রাখা যায়।
অসুস্থতায় করণীয়
শিশু অসুস্থ হলে তাকে স্বাভাবিক সময়ের সুষম খাবার যেমন ডাল, দুধ, সবজি অল্প অল্প পরিমাণে বারবার খেতে দিতে হবে।
বারবার পানীয় ও তরল খাবার দেওয়া এবং যে বাচ্চা বুকের দুধ পান করে, তাকে ঘন ঘন মাতৃদুগ্ধ পান করাতে হবে।
অসুখের সময় শিশু কখনো যেন উপোস না থাকে বা খাবার নিয়ন্ত্রণ যেন না করা হয়।
অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল