
ডায়াবেটিস ও হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ, বিআইএইচএস জেনারেল হাসপাতাল
শ্বাসকষ্ট, মারাত্মক অ্যালার্জি ও অন্যান্য রোগে সংকটাপন্ন ব্যক্তির জীবন বাঁচাতে ওষুধ হিসেবে অনেক সময় স্টেরয়েড দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন চর্মরোগ, আর্থ্রাইটিস, হাঁপানি ও ফুসফুসের কিছু রোগ, পরিপাকতন্ত্র ও কিডনির কিছু সমস্যায় প্রভৃতি রোগে নির্দিষ্ট সময় ও মাত্রা অনুযায়ী চিকিৎসকেরা স্টেরয়েড দিয়ে চিকিৎসা করে থাকেন। কিন্তু এই ওষুধের অপব্যবহার আমাদের দেশে অনেক। ব্যথা, চুলকানি, শ্বাসকষ্ট দ্রুত উপশম করে বলে অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অথবা ওষুধ বিক্রেতা বা হাতুড়ে চিকিৎসকের কথামতো দীর্ঘদিন স্টেরয়েড সেবন করে থাকেন।
সরিষার বিচির মতো দেখতে এই স্টেরয়েডের যথেচ্ছ ব্যবহারের রয়েছে নানাবিধ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। দীর্ঘদিন এটি সেবন করলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, আলসার, হাড়ক্ষয়, মাংসপেশির দুর্বলতা এবং চোখের ছানি দেখা দেয়। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। মুখ ও শরীর ফুলে যায়, ওজন বাড়ে। মেয়েদের মাসিকের জটিলতা, মুখে বা শরীরে অবাঞ্ছিত লোম দেখা যায়। অতিরিক্ত চুল পড়ে, ত্বক পাতলা হয়ে যায় ও ত্বকে ফাটা দাগ পড়ে এবং মুখে ব্রণ হয়।
তবে সবচেয়ে ভয়াবহ দিক হলো দীর্ঘদিন স্টেরয়েড সেবনে শরীরে স্বাভাবিক স্টেরয়েড হরমোনের নিঃসরণে ব্যাঘাত ঘটে। রোগী স্টেরয়েড ওষুধের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
এ ধরনের রোগী হঠাৎ ওষুধ বন্ধ করে দিলে শারীরিক দুর্বলতা, পেটব্যথা, বমি, শরীরে লবণের ঘাটতি প্রভৃতি সমস্যায় আক্রান্ত হয় এবং রক্তচাপ কমে গিয়ে কখনো অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যেকোনো ওষুধের মতোই স্টেরয়েড সেবন থেকে বিরত থাকুন। বাজারে প্রচলিত ব্যথা, চুলকানি, চর্মরোগ, শ্বাসকষ্ট সারানোর বা মোটা হওয়ার কবিরাজি বা হারবাল ওষুধে উচ্চমাত্রায় স্টেরয়েড থাকে।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনে এই ওষুধ ঠিকমতো সেবন করতে হয় এবং তা ধাপে ধাপে বন্ধও করতে হয়। কখনো দীর্ঘ মেয়াদে গ্রহণ করতে হলে নিয়মিত রক্তচাপ, রক্তের গ্লুকোজ ইত্যাদি পরীক্ষা করতে হয়, মাত্রা ঠিক করতে হয় এবং সঙ্গে হাড়ক্ষয় প্রতিরোধের ওষুধ সেবন করতে হয়।
স্বাস্থ্যবটিকা ® ব্রোন স্মিথ
ক্যানসার এড়াতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজটা করতে পারি?
ক্যানসার এড়াতে চাইলে খাবারের তালিকা থেকে চিনি এবং অন্যান্য ক্ষতিকর শর্করা বাদ দিন। প্রায় ৮০ শতাংশ ক্যানসার চিনি ও অন্যান্য শর্করার কারণে বৃদ্ধি পায়। আর আপনার ভিটামিন ডি পরীক্ষা করিয়ে নিন, এটা যেন প্রতি মিলিমিটারে ৫০ ন্যানোগ্রামের বেশি থাকে।
‘স্বাস্থ্যবটিকা’র লক্ষ্য রোগনির্ণয় গোছের কিছু নয়
প্রশ্নোত্তর
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রয়েছে নানা রকম স্বাস্থ্যসমস্যা। অনেক সময় ঘরে বসেই কিংবা জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব। আপনার সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন পাঠান। উত্তর দেবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। বয়স লিখতে ভুলবেন না।
স্বাস্থ্যসমস্যা নিয়ে প্রশ্ন পাঠাতে পারেন এই ঠিকানায়:
ভালো থাকুন, প্রথম আলো, সিএ ভবন
১০০ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার ঢাকা-১২১৫
ই-মেইল:[email protected]