যে কারণে ছুটির দিনেও ১০টা পর্যন্ত ঘুমাবেন না

শিরোনাম পড়ে ভাবছেন, বেলা ১০টা তো ১০টা, ঘড়ির সব কাঁটা ১২টা ছুঁয়ে ফেললেও ঘুম থেকে উঠি না! ছুটির দিনে যেন অ্যালার্ম ঘড়িটারও ছুটি। সেদিন ঘড়িতে কখন কটা বাজল, তাতে কী আসে যায়! ছুটির দিন বলে কথা। তবে ছুটির দিনেও ঘুমের নিয়মের বারোটা বাজিয়ে বেলা করে ঘুমানো ঠিক নয়।

ঘুমের নিয়ম এলোমেলো করবেন না, সকালের আলো গায়ে না মাখাটা মোটেও ভালো কাজ নয়।ছবি: পেক্সেলস

ঘুমের নিয়মে ব্যাঘাত নয়

ঘুমের নিয়ম এলোমেলো করবেন না। শুক্রবার যদি বেলা ১০টায় ঘুম থেকে ওঠেন, তাহলে শনিবার ভোর ৬টায় ঘুম থেকে উঠতে অসুবিধা হবে। এ ছাড়া, সকালের আলো গায়ে না মাখাটা মোটেও ভালো কাজ নয়। কেননা, সকালের রোদ সেরাটনিন নিঃসৃত হতে উৎসাহিত করে। সেরাটনিন আপনার মনকে চনমনে রাখে। কর্মব্যস্ত দিন পার করতে সাহায্য করে।

হাইপারসমনিয়া কী, জানেন?

আপনার যদি ১০ ঘণ্টা ঘুমিয়েও মনে হয়, আরও ২ ঘণ্টা ঘুমাতে পারলে বেশ হতো, তাহলে আপনি হাইপারসমনিয়ায় আক্রান্ত। কম ঘুমানোর মতো বেশি ঘুমানোও অস্বাস্থ্যকর। কম ঘুমানোর মতো বেশি ঘুমিয়ে উঠলেও আপনার ক্লান্ত লাগবে।

লাইট থেরাপি, সূর্যস্নান বা রৌদ্রস্নান কেন জরুরি?

দিনের প্রথম স্নান, সূর্যস্নান

সকালের রোদ গায়ে মাখা খুবই উপকারী। বিশেষ করে সকাল ৮টার আগে অন্তত ২০ মিনিট রোদে থাকলে আপনার দিনটা অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি কর্মময়, সৃজনশীল, ইতিবাচক আর উদ্যমী হবে। ভোরে উঠে পত্রিকা হাতে নিয়ে বারান্দায় বসতেই পারেন। অথবা শোবার ঘরের পর্দা সরিয়ে বাইরের আলোকে ঘরে আমন্ত্রণ জানিয়ে সেখানেই সেরে ফেলতে পারেন দিনের প্রথম স্নান, সূর্যস্নান।

ভিটামিন ডি

সূর্যস্নান বা রৌদ্রস্নান যে নামেই ডাকুন না কেন, সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এলে, বিশেষ করে ভোরের নরম আলোয় আমাদের শরীর ভিটামিন ডি তৈরি করে।
ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। ফলে হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য ছুটির দিন সকালে আপনি নিয়মমতো ঘুম থেকে উঠে ধোঁয়া ওঠা চায়ের সঙ্গে উপভোগ করতে পারেন সূর্যস্নান।

তবে আপনি যদি আগের দিন কম ঘুমান বা কয়েক দিন ধরেই কাজের চাপ একটু বেশি থাকে, তাহলে ছুটির দিনে নিয়ম ভেঙে একটু বেশি ঘুমিয়ে নিতেই পারেন।


সূত্র: সিবিএস নিউজ