এই গরমেও যেভাবে আরামে ঘুমাবেন

রাতে বিছানায় শুয়েও শান্তি নেই, অস্বস্তি নিয়ে এপাশ-ওপাশ করতে হয় অনেকক্ষণ (প্রতীকী ছবি)
ছবি: পেক্সেলস ডটকম

গ্রীষ্মের দাবদাহে সবারই হাঁসফাঁস দশা। রাতে বিছানায় শুয়েও শান্তি নেই, অস্বস্তি নিয়ে এপাশ-ওপাশ করতে হয় অনেকক্ষণ। গরম দূর করতে না পারলেও সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে শরীরের অস্বস্তি দূর করতে পারবেন অনেকাংশেই।

হালকা খাবার খান

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অনেকেই ভরপেট খেয়ে নেন। সারা দিনের ক্লান্তি শেষে দিনের শেষ খাবারে অনেকেরই লাগাম থাকে না। কিন্তু বিপত্তি বাধে রাতে ঘুমানোর সময়, বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই ভারী খাবার তৈরি করে অস্বস্তি। ভরপেট খাবার শরীর থেকে বেশি পরিমাণ তাপ উৎপন্ন করে। এতে আরও বেশি গরম লাগে। রাতের খাবার যতটা সম্ভব হালকা রাখার চেষ্টা করুন। এতে ঘুমের পরিমাণ ও মান, দুটোরই উন্নতি হবে।

ঘুমানোর অন্তত দুই ঘণ্টা আগে খাবার

বেশির ভাগ বাঙালি পরিবারের কাছে রাতের খাবার শেষ মানেই ঘুমের সূচনা। রাতে খাওয়ার মাধ্যমেই যেন ঘুমের প্রস্তুতি শুরু করেন, হাত ধুয়েই সোজা চলে যান বিছানায়। রাতের খাবার শেষে শরীর ভেতরে থাকা তাপ বাইরে ছেড়ে দেয়। যে কারণে রাতে খাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা পর বিছানায় শুতে যান। এতে ঘুমের মান ভালো হবে।

ক্যাফেইন পরিহার করুন

গ্রীষ্মকালে ক্যাফেইন–জাতীয় পদার্থ, যেমন চা, কফি, চকোলেট কিংবা কিছু কিছু কোমল পানীয় থেকে যত দূরে থাকা যায়, তত ভালো। ক্যাফেইন শরীরকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে, ফলে রাতের ঘুমেও ঘটে ব্যাঘাত। যদি ক্যাফেইন একান্তই খেতে হয়, তাহলে সন্ধ্যে ছয়টায় আগে খান। অল্প পরিমাণে খান।

প্রচুর পানি পান করুন

রাতের ঘুমে সমস্যা হওয়ার আরেকটি বড় কারণ পানিশূন্যতা। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না থাকলে বা সারা দিনে পানি ঠিকমতো পান না করলে রাতের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই বলে আবার কোমল পানীয় বা চিনিজাতীয় পানি পান করবেন না যেন। এতে হিতে বিপরীত হয়ে রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। যার প্রভাব পড়তে পারে ঘুমে।

ঘুমাতে সাহায্য করে এমন খাবার খান

কিছু কিছু খাদ্য রয়েছে, যা প্রচুর পরিমাণ মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণ করে। যেমন কলা, চেরি, কিউই, আমন্ড বা কাঠবাদাম। এসব ফলমূল শরীরের মেলাটোনিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে, যা ঘুমের মান বাড়াতে সাহায্য করে।

তেল ও ঝাল খাবার থেকে দূরে থাকুন

তেল ও ঝালজাতীয় খাবার হজমে সমস্যা তৈরি করে। রাতের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়।


হালকা পোশাকে ঘুম

ঢিলেঢালা পাতলা সুতির পোশাক বা গেঞ্জি কাপড়ে বিছানায় যান।

তথ্যসূত্র: নিউজ১৮