কোনো কোনো শিশু এক বা একাধিক বেশি আঙুল নিয়ে জন্মায়। এ নিয়ে অনেক অভিভাবক আতঙ্ক ও কুসংস্কারে ভোগেন। কিন্তু এমনটা হতেই পারে।
অতিরিক্ত আঙুল সাধারণত ছোট ও অস্বাভাবিকভাবে বিকশিত হয়। একে পলিডাকটাইলি বলে। পলি মানে অনেক এবং ডাকটাইলির অর্থ আঙুল।
পলিডাকটাইলির কারণ হিসেবে এ পর্যন্ত ছয়টি জিন আবিষ্কৃত হয়েছে। ত্রুটি বা মিউটেশনের ফলে এটি হতে পারে। এ ছাড়া ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মায়ের সন্তান, কম ওজনে ভূমিষ্ঠ শিশু, গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসে মায়ের শ্বাসতন্ত্রে কোনো সংক্রমণ, মায়ের মৃগীরোগ বা এপিলেপসির মতো কোনো রোগের ইতিহাস থাকলে বা গর্ভাবস্থায় কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিকের সংস্পর্শে এলে।
পলিডাকটাইলির সাধারণ চিকিৎসা হচ্ছে অতিরিক্ত আঙুল অপসারণ করা। সাধারণত শিশুর বয়স ১ থেকে ২ বছরের মধ্যে এটি করা হয়। অস্ত্রোপচারের ১০ দিনের মধ্যেই সেলাই কাটা হয়। তার পর থেকেই রোগী স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে।
অতিরিক্ত আঙুল রেখে দিলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হাতের বা পায়ের কার্যক্ষমতায় কোনো সমস্যা করবে না। তবে শিশু হীনম্মন্যতায় ভুগতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন, অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন, ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতাল, ধানমন্ডি, ঢাকা