ঠান্ডা না গরম, কোন অবস্থায় দুধ খাওয়া ভালো? জেনে রাখুন আরও কিছু তথ্য

দুধ এমন একটি খাবার, পুষ্টিবিজ্ঞানে যার কোনো বিকল্প নেইছবি: পেক্সেলস

১. সব বয়সে কেন দুধ খাওয়া জরুরি?

দুধ এমন একটি খাবার, পুষ্টিবিজ্ঞানে যার কোনো বিকল্প নেই। মানবদেহের সব কটি প্রয়োজনীয় উপাদান দুধে পাওয়া যায়। দেহ গঠনের সব কটি প্রয়োজনীয় প্রোটিন দুধে থাকায় শিশু, বাড়ন্ত বয়সী, অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যদায়ী মায়েদের জন্য দুধ অপরিহার্য। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে দুধকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। এতে সন্তোষজনক মাত্রায় ফসফরাস থাকে। শিশু ও বাড়ন্ত বয়সে হাড়, দাঁতের গঠন ও মজবুতের জন্য এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের হাড়ের ভঙ্গুরতা রোধ করার জন্য দুধ প্রয়োজন। অর্থাৎ সব বয়সের মানুষের দুধ খাওয়া জরুরি।

২. দুধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান কী?

দুধে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান আছে বলে মানুষ শুধু দুধ খেয়েও দিনযাপন করতে পারে। দুধে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন আছে। দুধের প্রোটিন হলো কেজিন আর এর শর্করা হলো ল্যাকটোজ। ল্যাকটোজের জন্যই দুধ মিষ্টি লাগে। স্বাস্থ্যের ওপর দুধের প্রভাব অনেকখানি। দুধে রাইবোফ্লাভিন আছে। এটি মুখের ও জিবের ঘা থেকে রক্ষা করে। দুধে ট্রিফটোফ্যান থাকার কারণে ভালো ঘুমের জন্য দুধ প্রয়োজন। নিয়মিত দুধ খেলে হাড়ের ব্যথা উপশম হয়। ত্বক, চুল, নখ উজ্জ্বল হয়।

৩. দিন নাকি রাত—কখন দুধ খাওয়া বেশি উপকারী?

এর সঙ্গে দিন-রাতের সম্পর্ক নেই। ফ্যাট ফ্রি, লো ফ্যাট বা হোল মিল্ক—স্বাস্থ্যের বিভিন্ন অবস্থার কথা বিবেচনা করেই দুধ খাওয়া উচিত। ফ্রাট ফ্রি বা ননিবিহীন দুধের ভেতর থেকে চর্বি উঠিয়ে নেওয়া হয়। তবে চর্বি তুলে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে এর স্বাদ ও ঘ্রাণ কমে যায়। আবার এতে থাকা ভিটামিন এ ও ডি কমে যায়। ফ্যাট ফ্রি দুধ ব্যবহার করা হয় হৃদ্‌রোগী, উচ্চ রক্তচাপের রোগী এবং যাঁদের রক্তে চর্বির আধিক্য থাকে, তাঁদের ক্ষেত্রে। তবে শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের ক্ষেত্রে ফ্যাট ফ্রি বা লো ফ্যাট মিল্ক ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতি দেখা দেয়।

৪. ঠান্ডা না গরম, কোন অবস্থায় দুধ খাওয়া ভালো?

দুধ ঠান্ডা না গরম পান করবেন, সেটা সম্পূর্ণ শারীরিক ব্যাপার। যেমন পেপটিক আলসারের ক্ষেত্রে ঠান্ডা দুধ এবং মেলিনার (ব্ল্যাক স্টুল) ক্ষেত্রে বরফঠান্ডা দুধ খেলে ভালো হয়। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় ঈষদুষ্ণ গরম দুধই ভালো।