ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে কোথায় কীভাবে রিপোর্ট করবেন
বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া চিহ্নিত করার দায়িত্ব নেয়। আর ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া চিহ্নিত করার জন্য থাকে রিপোর্ট ফরম। আসুন, এ বিষয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর জেনে নেওয়া যাক—
চিকিৎসার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ওষুধ। একটি ওষুধ বাজারে আসার আগে বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে। এসব ধাপ অতিক্রমের সময় ওষুধের যেসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ধরা পড়ে, তার পরিমাণ খুব অল্প। প্রতিটি ওষুধের আরও অসংখ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে, যার বেশির ভাগই অজানা। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া চিহ্নিত করার দায়িত্ব নেয়। আর ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া চিহ্নিত করার জন্য থাকে রিপোর্ট ফরম। আসুন, এ বিষয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর জেনে নেওয়া যাক—
১. ওষুধ সেবনের পর যেকোনো সমস্যা হলেই কি রিপোর্ট করব?
উত্তর: হ্যাঁ। ওষুধ সেবনের পর কোনো সমস্যা হলে যদি মনে হয়, সমস্যাটি ওষুধ সেবনের জন্য হয়েছে, তাহলে রিপোর্ট করতে হবে।
২. ওষুধ সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বাদে আর কী কী বিষয়ে রিপোর্ট করতে হবে?
উত্তর: ক. ওষুধের গুণগত মানে সমস্যা থাকলে।
খ. ওষুধের নির্দিষ্ট ডোজ বা ব্যবহারের নির্দেশনা অনুসরণ করতে সমস্যা হলে।
গ. ওষুধের প্যাকেজিং ত্রুটি বা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেলে।
৩. কোথায়, কীভাবে রিপোর্ট করতে হবে?
উত্তর: ক. স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ইয়েলো কার্ড বা রিপোর্ট ফরম ডাউনলোড করে পূরণ করার পর ই–মেইল করতে হবে।
খ. টেলিফোন: ৮৮০২৯৮৮০৮০৩, ৮৮০১৭২৮৩৪৯৫০৩
গ. ফ্যাক্স: ৮৮০২৯৮৮০৮৫৪
ঘ. ই–মেইল: [email protected], [email protected]
৪. ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটার কত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট করতে হবে?
উত্তর: ক. যেকোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটার সাত দিনের মধ্যে, কিন্তু এক মাসের বেশি নয়।
খ. পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মারাত্মক হলে যত তাড়াতাড়ি রিপোর্ট করা যায়।
৫. রিপোর্ট না করলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
উত্তর: ক. রিপোর্ট না করলে ওষুধ সেবনের ফলে সচরাচর হয় না, এমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অজানা থেকে যাবে।
খ. মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অজানা থাকার কারণে পরবর্তী সময়ে তা প্রাণঘাতী হতে পারে।
গ. ওষুধ সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে, তা জানা না থাকলে ভুল চিকিৎসা হতে পারে।
ঘ. ওষুধ প্রাত্যহিক জীবনের অতি গুরত্বপূর্ণ উপাদান। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যত বেশি নির্ণয় করা সম্ভব হবে, স্বাস্থ্য খাতের সর্বত্র নিরাপত্তা তত বেশি নিশ্চিত হবে। তাই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া–সম্পর্কিত রিপোর্ট সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি।