চিনি ছাড়া স্বাস্থ্যকর ডেজার্ট

শেষ পাতে একটুখানি মজাদার মিষ্টান্ন বা ডেজার্ট অনেকেরই পছন্দ। তবে সুস্থ জীবনযাপনের জন্য অনেক সময় শর্করা বা মিষ্টি খাবারের লোভ সামলাতে হয়। বিশেষ করে যাঁরা ডায়াবেটিস, স্থূলতা, হৃদ্‌রোগসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য মিষ্টান্নের স্বাদ নেওয়া বেশ কঠিন। তবে তাঁদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থাও রয়েছে। চিনি ছাড়া বানানো বেশ কিছু মিষ্টান্নের স্বাদ নিতে পারেন তাঁরা। আসুন জেনে নিই এমন কিছু মজাদার ডেজার্টের খবর:

পিনাট বাটার ও আপেল

একটি আপেল লম্বা লম্বা টুকরা করে তাতে পিনাট বাটার মাখিয়ে নিন। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব ভালো একটি খাবার।

ডার্ক চকলেট

এটা চমৎকার ও স্বাস্থ্যসংক্রান্ত ঝুঁকিহীন একটি খাবার। অনায়াসে যে কেউ খেতে পারবেন।

চিয়া সিডের পুডিং

মিষ্টি খাবারের বিকল্প হিসেবে দুধে ভেজানো চিয়া সিড খাওয়া যেতে পারে। দুধের মধ্যে চিয়া সিড ভিজিয়ে কিছু সময়ের জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। ঠান্ডা হলে তাতে ফল ও বাদাম মিশিয়ে খেতে হবে। এ ছাড়া ওটস, নারকেল, বাদাম, তিসি ও চিয়া সিড দিয়ে বানানো লাড্ডু খাওয়া যেতে পারে।

মিষ্টি পপকর্ন

আখের গুড়ের কেরামেল দিয়ে ঘরে ভুট্টার দানা থেকে পপকর্ন তৈরি করতে পারেন। তবে গুড় থাকায় এই খাবার এক কাপের বেশি না খাওয়াই ভালো। এ ছাড়া এই গরমে চিনি ছাড়া মিষ্টি ফলের স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়া ২০ গ্রাম কর্নফ্লেক্স হতে পারে উৎকৃষ্ট বিকল্প ডেজার্ট।

টক দই

শুধু টক দই খাওয়ার পাশাপাশি এর সঙ্গে বিভিন্ন রকমের ফল মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। তবে দইয়ে কখনোই চিনি মেশাবেন না। ফ্রিজের সিলিকন আইস ট্রেতে ফল ও টক দই জমাট করে ডেজার্ট হিসেবেও খেতে পারেন।

ফলের শাশলিক

যাঁরা হৃদ্‌রোগ ও স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা ফলের ওপর তিসি বা চিয়া সিড ছিটিয়ে শাশলিক বানিয়ে নিতে পারেন। প্রচলিত ফল দিয়েই এটা বানানো যায়। নারকেল কোরানো ও নারকেলের সাদা নরম শাঁসও খাওয়া যেতে পারে।

গাজর বা পেঁপের হালুয়া

চিনির পরিবর্তে যষ্টিমধু দিয়ে গাজর কিংবা পেঁপের হালুয়া বানানো যেতে পারে। ডেজার্ট হিসেবে ১-২ চা চামচ হালুয়া খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া বিকল্প ডেজার্ট হিসেবে আখের গুড় দিয়ে বানানো বাদামের বার অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে।

সতর্ক থাকুন

যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁরা মিষ্টি ফল পরিমাণমতো খাবেন। উচ্চ রক্তচাপ ও লিভারের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তি এবং সন্তানসম্ভবা নারীরা যষ্টিমধু ব্যবহার করবেন না।

জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ, ল্যাবএইড ওয়েলনেস সেন্টার, ঢাকা