জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে টিকা জরুরি

উন্নয়নশীল দেশে জরায়ুমুখে ক্যানসারের প্রকোপ বেশি। ৮০ শতাংশ নারীর যত ধরনের ক্যানসার হয়, তার মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ হয় জরায়ুমুখের ক্যানসার।

কারা ঝুঁকিপূর্ণ

অল্প বয়সে বিয়ে অথবা যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া। অল্প বয়সে সন্তান প্রসব। ঘন ঘন ও বেশি সন্তান প্রসব। একাধিক যৌনসঙ্গী। নিম্নবিত্তদের মধ্যে ক্যানসারের প্রকোপ বেশি। জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি হিসেবে দীর্ঘদিন পিল খাওয়া এবং কনডম ব্যবহার না করা। এসব বিষয় ঝুঁকি বাড়ায়।

জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধের অন্যতম উপায় হলো টিকা। হিউম্যান প্যাপিলোমা নামের একটি ভাইরাস মূলত এই ক্যানসারের প্রধান কারণ। ভাইরাসটি সাধারণত যৌনবাহিত। টিকার মাধ্যমে এই ভাইরাসকে প্রতিহত করা সম্ভব। এতে ৮৫ শতাংশ ক্যানসার প্রতিরোধ করা যায়।

এ ছাড়া নিয়মিত জরায়ুমুখ পরীক্ষা করে সহজেই ক্যানসার থেকে দূরে থাকা সম্ভব। এতে আগেই ক্যানসার শনাক্ত করা যায়। আক্রান্ত নারীকে চিকিৎসার আওতায় আনা যায়।

টিকা কারা দিতে পারবেন

টিকা দেওয়ার উপযুক্ত সময় ৯-২৬ বছর বয়স। বিবাহিত জীবন শুরুর আগে টিকা অত্যন্ত কার্যকর। এ ছাড়া ৪৫ বছর পর্যন্ত; অর্থাৎ যাঁরা বিবাহিত, তাঁরাও দিতে পারবেন। আমাদের দেশে জরায়ুমুখে ক্যানসারের টিকা সহজলভ্য।

 

টিকার ডোজ

৯-১৪ বছর বয়স পর্যন্ত দুটি ডোজ। প্রথমটি নেওয়ার ছয় মাস পর আরেকটি নিতে হবে। ১৫-৪৫ বছর পর্যন্ত তিনটি ডোজ। প্রথম টিকা নেওয়ার এক মাস ও ছয় মাস পর বাকি দুটি টিকা নিতে হবে।

টিকার নির্ধারিত ডোজ মিস হলে দ্বিতীয় ডোজ প্রথম ডোজের ১২ মাসের মধ্যে দিলে ভালো। প্রথম থেকে শুরু করার দরকার নেই। জেনে রাখা ভালো, টিকা নেওয়া থাকলেও নিয়মিত জরায়ুমুখ পরীক্ষা করতে হবে।

  • অধ্যাপক ডা. মো. ইয়াকুব আলী বিভাগীয় প্রধান, অনকোলজি বিভাগ এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সাভার