গবেষণায় দেখা গেছে, রাতে না ঘুমানো ব্যক্তির ব্রেইনওয়েভের আচরণ নিয়মিত ঘুমানো বয়সী ব্যক্তির ব্রেইনওয়েভের মতো। অর্থাৎ রাত জেগে কাজ করার প্রভাব পরে মস্তিষ্কের তরঙ্গে। যে কারণে বয়সে ছোট হওয়ার পরও রাতে না ঘুমানো মস্তিষ্ককে করে তুলতে পারে বয়সীদের মতো। জার্মান গবেষক ইভা-মারিয়া এলমেনহর্স্টের মতে, ‘ঘুমহীনতা ব্রেইনওয়েভকে অনেকটাই পরিবর্তন করে দেয়। যাতে তরুণ মস্তিষ্কও অনেকটা বয়সীদের মস্তিষ্কের মতো আচরণ করতে শুরু করে।’
মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা লিখে শেষ করা যাবে না। মানুষের চিন্তাভাবনা ও স্মৃতিশক্তিতে বড় ভূমিকা পালন করে ঘুম। আর সেই বিশ্রামের সঙ্গে শরীরের ভেতরে ও বাইরের প্রতিটি অঙ্গ নিজেদের পুনরুজ্জীবিত করে। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নতুন দিনের জন্য তৈরি করে শরীরকে।
তবে আশার কথা হচ্ছে, এই পরিবর্তন একেবারে পাকাপাকি নয়। বরং নিয়মিত ঘুম ও শরীরের যত্ন নিলে এই অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব। কারণ, ঘুমের মধ্য দিয়ে আমাদের মস্তিষ্কের ক্ষতিগ্রস্ত নিউরনগুলো বিশ্রাম পায়। ফলে এরাও আগের মতো কর্মক্ষমতা ফিরে পায়।