রোজায় গ্যাসের সমস্যা এড়াতে খাবারের বেলায় যেসব নিয়ম মানবেন

পবিত্র রমজান মাসে স্বাভাবিকভাবেই খাদ্যাভ্যাস ও খাবারের সময়সূচিতে অনেক পরিবর্তন আসে। এ সময় আমরা এমন অনেক কিছু খাই, যা অন্য সময় খাওয়া হয় না। তাই অনেকেই রোজার শুরু থেকে গ্যাসের সমস্যায় ভুগতে থাকেন। কারও কারও পেটব্যথা, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়াও হয়। কিন্তু খাবার নিয়ে একটু সতর্ক থাকলেই রমজানে এই সমস্যাগুলো থেকে দূরে থাকা যায়।

অনেকেই রোজার শুরু থেকে গ্যাসের সমস্যায় ভুগতে থাকেনছবি: প্রথম আলো

প্রথমে পানি পানের দিকে খেয়াল রাখুন। ইফতারের পর অন্তত দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করুন। সম্ভব হলে ক্যাফেইনজাতীয় পানীয় পান না করাই ভালো। চা বা কফি পান করলে বারবার প্রস্রাব হওয়ার ফলে শরীরে পানিশূন্যতা হয়। এ ছাড়া অ্যাসিডিটি হওয়ারও এটি একটি কারণ। খাবার গ্রহণের ১ ঘণ্টা আগে ও পরে পানি পান করলে গলায় জ্বালাপোড়া বা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্সের সমস্যা কমবে। তাই সাহ্‌রির সময় ঘুম থেকে উঠেই পানি পান করে নেবেন। আর ফজরের আজানের কিছুক্ষণ আগে সাহ্‌রি করবেন। সাহ্‌রি খেয়েই ঢকঢক করে বেশি পানি পান করবেন না।

আরও পড়ুন

ইফতারে বেগুনি বা পেঁয়াজু খেতে ইচ্ছে হলে একটা বা দুইটার বেশি না খাওয়াই ভালো। ছোলা ভিজিয়ে রেখে কাঁচা বা সেদ্ধ করে খান। খাবারের আইটেম কম রাখুন। তবে স্বাস্থ্যকর যেন হয় সেটা নিশ্চিত করুন।

ইফতারে ফল, ফলের শরবত (লেবু, আনারস বা বেল) রাখুন। খাবারের তালিকায় ফ্রুট বা সবজির সালাদ, যেকোনো একটি রাখুন। এ ছাড়া পাউরুটি টোস্ট করে ডিমসেদ্ধ দিয়ে স্যান্ডউইচ তৈরি করে নিতে পারেন। বাড়িতেই চিকেন স্যুপ, চিকেন ফ্রাই তৈরি করে নিন। ছোট–বড় সবাই পছন্দ করবে। ইফতার বা সাহ্‌রিতে দই-চিড়া ও ফল খুবই উপকারী ও উপাদেয় খাবার।

আরও পড়ুন

রাতের খাবার ও সাহ্‌রিতে তরকারিতে তেল ও ঝাল কম দিন। অনেকেই রাতের খাবার খেতে চান না। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ডায়াবেটিক রোগী, যাঁরা ইনসুলিন নিচ্ছেন বা গ্লিক্লাজাইড/গ্লিমেপেরাইডজাতীয় ওষুধ খাচ্ছেন, তাঁদের ইফতার, সন্ধ্যারাতের খাবার ও সাহ্‌রি কোনোটাই বাদ দেওয়া যাবে না।

ডা. রোজানা রউফ, কনসালট্যান্ট, ইউনিকো হসপিটাল

আরও পড়ুন