ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথম ১০ মিনিট গোড়ালি হাত দিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন।
পায়ের পাতায়, বিশেষ করে গোড়ালিতে তীব্র ব্যথা অনুভূত হওয়ার প্রধান কারণ প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিস। এই ব্যথার কারণে ঠিকমতো হাঁটা যায় না, সোজা হয়ে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে।
পায়ের পাতার নিচে গোড়ালি থেকে সামনে একটি শক্ত টিস্যু আছে, যার নাম প্লান্টার ফাসা। এতে প্রদাহ হলে এমন তীব্র ব্যথা হয়ে থাকে।
প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিস ছাড়াও গেঁটেবাত, অস্টিওমাইলাইটিস, স্পন্ডিলাইটিস বা অন্য কারণেও গোড়ালিতে ব্যথা হতে পারে। হাঁটলে এই ব্যথা বাড়ে, কখনো কখনো গোড়ালি ফুলে যেতে পারে। খালি পায়ে হাঁটলে বা শক্ত জুতা ব্যবহার করলে ব্যথা বাড়ে। এই ব্যথা সাধারণত সকালের দিকে বেশি অনুভূত হয়।
পায়ের গোড়ালির এক্স-রে করলে বিষয়টি সনাক্ত করা সহজ হয়। পাশাপাশি ডায়াবেটিস, থাইরয়েড ইত্যাদিও পরীক্ষা করা উচিত। কারণ, এসব রোগ সমস্যা বাড়ায়। সাধারণত ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করলে, প্রয়োজনীয় ফিজিওথেরাপি দিলে এবং কিছু নিয়ম মেনে চললে উপকার মেলে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত বেশি মাত্রায় ব্যথানাশক খাওয়া উচিত নয়।
আরও পড়ুনঃ
উপশমে করণীয়
● সব সময় নরম জুতা ব্যবহার করুন। জুতার মধ্যে নরম হিল কুশন ব্যবহার করতে পারেন।
● খালি পায়ে শক্ত স্থানে কখনো হাঁটাহাঁটি করবেন না।
● সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় ধীরে ধীরে হাতে সাপোর্ট দিয়ে উঠতে হবে, যাতে গোড়ালিতে বেশি চাপ না পড়ে।
● ব্যথার সময় কয়েক দিন ব্যায়াম করা যাবে না। ব্যথা কমে গেলে ব্যায়াম করবেন।
● দেহের সঠিক ওজন বজায় রাখতে হবে।
● ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথম ১০ মিনিট গোড়ালি হাত দিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। এরপর বিছানা থেকে নামুন।
● দিনে দুবার কুসুম গরম পানিতে ১০ মিনিট করে গোড়ালি ডুবিয়ে ব্যায়াম করুন।
● স্ট্রেচিং করুন। এতে প্ল্যান্টার ফ্যাসিয়া লিগামেন্টের নমনীয়তা, শক্তি ও প্রসারিত করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
● চেয়ারে বসে পায়ের হিলে বলের মতো গরম পানির একটি বোতল ১০ বার ঘোরান। এবার পায়ের পাশ পরিবর্তন করুন এবং ধীরে ধীরে চাপ দিন।