টুথব্রাশ কেমন হলে ভালো—বড় না ছোট
দাঁত সুস্থ ও সুন্দর রাখতে নিয়মিত পরিচর্যার বিকল্প নেই। আর এই পরিচর্যার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে পরিষ্কার রাখার জন্য দাঁত নিয়মিত ব্রাশ করা। দাঁত আমরা সবাই ব্রাশ করি। কিন্তু তা সঠিক হয় কি? আর আপনার জন্য কোন আকারের ব্রাশ উপযোগী। জেনে নিন জরুরি কিছু তথ্য।
কতবার ও কীভাবে ব্রাশ করবেন
প্রতিদিন দুবার দাঁত ব্রাশ করা প্রয়োজন, সকালে ও রাতে ঘুমানোর আগে। অন্তত কয়েক মিনিট ধরে ব্রাশ করুন।
ব্রাশটি দাঁতের ৪৫ ডিগ্রি অবস্থানে রেখে দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থল থেকে শুরু করুন।
দাঁতের গোড়ার দিকে খুব ধীরে অথচ শক্তভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে একটু ঝাঁকিয়ে সব ফাঁকের কাছে নিতে হবে।
সামনের দাঁতের পেছন দিক পরিষ্কার করতে হবে।
মাড়ির ভেতরের দিকে দাঁতগুলোর উপরিভাগগুলোতে ব্রাশ সামনে-পেছনে চালাতে হবে।
এমনভাবে ব্রাশ করতে হবে, যাতে দাঁতের বাইরের অথবা ভেতরের কোনো অংশ বাদ না পড়ে।
অনেক সময় দাঁত ব্রাশ করার পরও দাঁতের ফাঁক থেকে খাদ্যকণা বের হয় না। এ ক্ষেত্রে ডেন্টাল ফ্লস অত্যন্ত উপকারী।
ব্রাশ কখন বদলাবেন
যখন ব্রাশের শলাকাগুলো সমতলভূমির মতো অবস্থানে না থেকে ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায় চলে আসে এবং মাথাগুলো সোজা না থেকে বাঁকা হয়ে যায়, তখনই সেটি ব্যবহারের উপযোগী থাকে না। নিয়মিত ব্যবহৃত একটি ব্রাশ সাধারণত দুই–তিন মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকে।
বড় ব্রাশ না ছোট ব্রাশ
একেক জনের মাড়ি একেক রকম। কারও নরম, কারও মাঝারি আর কারও মাড়ি শক্ত। তাই মাড়ির ধরন বুঝে ব্রাশ বেছে নিন। নরম থেকে মাঝারি ধরনের মাড়ির জন্য নাইলনের ব্রিসলের টুথব্রাশ ব্যবহার করাই উত্তম।
অনেকেই ভাবেন, বয়সে বড় হলে বুঝি বড় ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে। আদতে কিন্তু তা নয়। খেয়াল রাখতে হবে, ব্রাশটি মাড়ির শেষ সীমানা পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে কি না। আর সেটা বেবি টুথ ব্রাশ হলেও অসুবিধা নেই। তবে ব্রাশ কেনার আগে খেয়াল রাখতে হবে, ব্রাশের ওপরের অংশটি যেন নরম হয়। শক্ত হলে মাড়ি ও মুখের চামড়ার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট