এইডস প্রতিরোধে এই বিষয়গুলো মেনে চলুন

আজ ১ ডিসেম্বর, বিশ্ব এইডস দিবস
ছবি: সংগৃহীত

আজ ১ ডিসেম্বর। বিশ্ব এইডস দিবস। এ রোগের ভয়াবহতা সম্পর্কে অনেকেরই জানা আছে। তবে সমাজের প্রতিটি স্তরে আজও গড়ে ওঠেনি সচেতনতা। এইচআইভি ভাইরাস দিয়ে সংক্রমিত হলে শেষ পর্যায়ে আক্রান্তের মধ্যে যে উপসর্গগুলো দেখা দেয়, সেগুলোকেই সমন্বিতভাবে বলে ‘এইডস’। জীবনাচরণের কোন কোন বিষয় প্রাণঘাতী এই রোগের ঝুঁকি বাড়ায় কিংবা কোন কোন লক্ষণ দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন, সে সম্পর্কে সবারই জানা উচিত।

এইডস প্রতিরোধে

  • সঙ্গীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকুন। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক এইডসের ঝুঁকি বাড়ায়।

  • এইডস ছাড়াও অন্যান্য যৌনবাহিত রোগ প্রতিরোধে কনডম ব্যবহার ভালো অভ্যাস। মনে রাখবেন, অন্য কোনো যৌনবাহিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রেও এইডস হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

  • শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক আচরণ বজায় রাখুন। অস্বাভাবিক যৌন আচরণ (যেমন মলদ্বারের মাধ্যমে শারীরিক সম্পর্ক) থেকে বিরত থাকুন।

  • একবার ব্যবহৃত সিরিঞ্জ বা নিডল পুনরায় ব্যবহার করবেন না।

  • অন্যের ব্যবহৃত ব্লেড বা রেজার ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। সেলুনে গিয়ে দাড়ি ছাঁটার প্রয়োজন হলে অবশ্যই এ বিষয় নিশ্চিত করুন। অন্যের ব্যবহৃত কাঁচি দিয়ে চুল কাটাতে হলে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, যাতে সেই কাঁচি দিয়ে আপনার কেটে–ছিঁড়ে না যায়।

  • কোনো কারণে রক্ত গ্রহণের প্রয়োজন হলে এমন কোনো হাসপাতাল বা ব্লাড ব্যাংকের সহায়তা নিন, যেখানে রক্ত পরিসঞ্চালনের আগে সঠিকভাবে রক্তের সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।

কখন যাবেন চিকিৎসকের কাছে

এইডস বা এইচআইভি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে উপসর্গের উপশম করা সম্ভব। তা ছাড়া রোগ ধরা পড়লে অন্যদের মধ্যে নিজের অজান্তে এ রোগ ছড়িয়ে দেওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়। কিছু সন্দেহজনক উপসর্গ জেনে নিন।

  • ১০ দিনের বেশি সময় ধরে জ্বর।

  • দীর্ঘমেয়াদে ডায়রিয়া।

  • মুখে বা জরায়ুমুখে ছত্রাকের সংক্রমণ (মুখে বা জিহ্বায় পুরু, সাদাটে স্তর কিংবা জরায়ুমুখ থেকে সাদাটে তরল নিঃসরণ এবং জরায়ুমুখে চুলকানি)।

  • মুখ, গলা, যৌনাঙ্গ বা মলদ্বারে ঘা।

  • কিছুদিন পরপরই নানান ধরনের সংক্রমণ (অর্থাৎ প্রায়শই জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, ডায়রিয়া)।

  • কোনো কারণ ছাড়াই ওজন হ্রাস।

  • ঘাড় বা কুঁচকিতে গোটা গোটা, ফোলা।

  • কোনো কারণ ছাড়াই শরীরের কোনো স্থান থেকে রক্তক্ষরণ (ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ হয়ে ছোপ ছোপ দাগ) কিংবা ত্বকে লালচে ফুসকুড়ি (চুলকানি ছাড়া ফুসকুড়ি)।

  • অকারণে সব সময় অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ।

এগুলোর যেকোনোটি দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।