কিসে হয়
কিছু অ্যান্টিবায়োটিক, সালফারযুক্ত ওষুধ, অ্যাসপিরিন, ব্যথানাশক ইত্যাদি এবং পোকামাকড়ের কামড়ে এ ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। কিছু খাবার যেমন দুধ, ডিম, বাদাম, কিছু মাছ ও সবজিতেও কারও কারও এ ধরনের অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। জগিং, অতিরিক্ত গরম, আর্দ্র বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় ব্যায়াম করার জন্যও অ্যানাফাইলেকটিক শক হতে পারে।
ঝুঁকিতে কারা
যদি কারও একবার কোনো কিছুতে অ্যানাফিল্যাক্সিস হয়, তবে ভবিষ্যতে আবারও একই জিনিসের সংস্পর্শে মারাত্মক সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থাকে। পরিবারের কেউ যদি অ্যালার্জিক সমস্যায় ভোগে, তবে অন্যরাও অ্যানাফিল্যাক্সিসের ঝুঁকিতে থাকে। অ্যালার্জি বা হাঁপানির সমস্যা থাকলেও ঝুঁকি বাড়ে।
লক্ষণ
অ্যালার্জি ধরন ও মাত্রাভেদে মৃদু থেকে মারাত্মক হতে পারে। সাধারণত প্রতিক্রিয়া কয়েক মিনিটের মধ্যে শুরু হয়। দুর্বলতা, জ্বর, মাথা ঘোরা, বমি বা বমি বমি ভাব, গলাব্যথা, জিবের ফোলাভাব, গলা ফোলা, ত্বকে চুলকানি, র্যাশ বা বিবর্ণ হওয়া, ডায়রিয়া ইত্যাদি মৃদু উপসর্গ। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে শ্বাসকষ্ট, জ্ঞান হারানো কিংবা রক্তচাপ কমে যাওয়ার মতো মারাত্মক উপসর্গে জীবনহানিও হতে পারে।
চিকিৎসা
যে জিনিস বা খাবারে আকস্মিক প্রতিক্রিয়া হলো সেটির সংস্পর্শ বা গ্রহণ বন্ধ করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। পোকামাকড়ের কামড়ে হলে সঙ্গে সঙ্গে চিমটা দিয়ে হুল বের করে ফেলতে হবে। এরপর সেখানে বরফ ঘষে নেবেন। ১০১ ডিগ্রি বা তার বেশি জ্বর, সাধারণ ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শে প্যারাসিটামল বা অ্যালার্জি নিরোধক ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। রোগী অজ্ঞান হয়ে গেলে, শ্বাসকষ্ট শুরু হলে বা রক্তচাপ/ পালস কমে গেলে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে।
প্রতিরোধ
যে খাবার, ওষুধ, ইনজেকশন, ভ্যাকসিন বা স্যালাইন প্রয়োগ করতে গিয়ে আকস্মিক প্রতিক্রিয়া হলো, তা চিকিৎসাপত্রে লিখে রাখতে হবে। প্রয়োজনে পরিবার, বন্ধু বা স্বজনদের জানাতে হবে। অ্যালার্জি হয় এমন উপাদান থেকে দূরে থাকতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ, ইনজেকশন বা স্যালাইন ব্যবহার নয়।
ডা. মধুরিমা সাহা, সহকারী অধ্যাপক, ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন, বারডেম হাসপাতাল