এক ঘণ্টা প্রস্রাব চেপে রাখার পরিণাম কী হতে পারে, জানেন?
অনেকেই আমরা কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টানা ক্লাসে বা দূরের যাত্রায় প্রস্রাব চেপে রাখি। প্রস্রাব চেপে রাখার এ অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর।
১. চাপ আসার পরও ১০ মিনিট প্রস্রাব চেপে রাখলে মূত্রথলি (ইউরিনারি ব্লাডার) থেকে প্রস্রাব করার জন্য মস্তিষ্কে বারবার সংকেত যেতে থাকে। তাতে কেউ অন্য কোনো কাজের অজুহাতে প্রস্রাব চেপে রাখলে কাজের প্রতি মনোযোগ নষ্ট হয়। অস্বস্তি হতে থাকে।
২. যদি কেউ এক ঘণ্টা বা তার চেয়ে বেশি সময় প্রস্রাব ধরে রাখেন, তাহলে মূত্রথলির মাংসপেশি দুর্বল হতে শুরু করে এবং প্রস্রাব কিডনির দিকে ফিরে যেতে শুরু করে। যা শরীরের তরল ও বর্জ্য পদার্থের ভারসাম্য নষ্ট করে।
৩. তিন ঘণ্টা প্রস্রাব চেপে রাখলে কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। ইউরিন ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কারণ, জমিয়ে রাখা প্রস্রাবে ব্যাকটেরিয়া বাড়তে শুরু করে।
৪. ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত প্রস্রাব ধরে রাখলে ইউরিন ইনফেকশনের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। পরবর্তীকালে প্রস্রাব করতে গেলেও মূত্রথলি থেকে সম্পূর্ণ প্রস্রাব বের হতে চায় না, কিছু মূত্রথলিতে জমা থাকে এবং প্রস্রাবে ইনফেকশন তৈরি করে। তলপেটে ব্যথা, জ্বর হতে পারে। এমনকি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো অবস্থা তৈরি করে।
৫. কেউ যদি আট ঘণ্টা পর্যন্ত প্রস্রাব আটকে রাখেন, কিডনি নষ্ট হওয়া, কিডনিতে স্থায়ীভাবে পানি জমে যাওয়া, কিডনিতে পাথর হওয়া এবং মূত্রথলির সংক্রামক রোগ হতে পারে। যা পরবর্তীকালে জীবনের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
অনেকেই আবার আছেন, বারবার প্রস্রাবের ভয়ে পানিই কম পান করেন। একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লিটার পর্যন্ত পানি পান করা উচিত। পানি কম পান করলে বা প্রস্রাব চেপে রাখার অভ্যাস থাকলে তা এখনই বাদ দেওয়া অতীব জরুরি। তা না হলে কিডনির রোগ হতে পারে। এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ নয়। তাই নিজের স্বাস্থ্যের জন্যই নিয়মিত পানি পান করা এবং সময়মতো প্রস্রাব করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।