যেভাবে ৯ কেজি ওজন ঝরিয়েছেন ইলন মাস্ক

ইলন মাস্ক টুইট করলেই নড়েচড়ে বসে বিশ্ব। কী লিখলেন তিনি?

বিশ্বের অন্যতম এই ধনী সম্প্রতি টুইটারে জানিয়েছেন, তিনি ইন্টারমিটেন্ট ডায়েট করে প্রায় ৯ কেজি (২০ পাউন্ড) ওজন ঝরিয়েছেন। এতে নিজেকে তাঁর বেশ ঝরঝরে লাগছে। মনে হচ্ছে, ‘তারুণ্য’ ভর করেছে তাঁর ওপর।

৯ কেজি ওজন কমিয়ে ইলনের মনে হচ্ছে, ‘তারুণ্য’ ভর করেছে তাঁর ওপর
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

প্রকাশ্যে ছেলের খাদ্যাভ্যাসের সমালোচনা করেছিলেন ইলনের বাবা ইরল মাস্ক। এর পর থেকেই ওজন কমিয়ে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের দিকে ঝোঁকেন ইলন। শুরুতে বাবার পরামর্শে ওজন কমানোর সবচেয়ে সহজ উপায়টাই বেছে নিয়েছিলেন ইলন। খেয়েছিলেন ডায়েট পিল। যেটি খেলে ক্ষুধা লাগে না বললেই চলে। এরপর ইলন ঠিক করেন, এভাবে নয়, স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে কষ্ট করে ওজন ঝরাবেন। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনবেন। স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন। এরপর তিনি কাছের এক চিকিৎসক বন্ধুর পরামর্শে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং শুরু করেন।

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং নানা রকম হতে পারে। অনেকে তিন বেলার বদলে দুই বেলা খান। অনেকে দিনের ২৪ ঘণ্টাকে ১৬ ঘণ্টা ও ৮ ঘণ্টা—এই দুই ভাগে ভাগ করেন। টানা ১৬ ঘণ্টা না খেয়ে থাকেন। আর ৮ ঘণ্টার ভেতর খাওয়াদাওয়া সারেন। আবার সপ্তাহে দুই দিন না খেয়েও ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং হয়। মাসে পাঁচ দিন না খেয়েও করা যায় এই ডায়েট। তবে আপনি যা-ই করেন না কেন, সেটা ডায়েটিশিয়ান, চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে করতে হবে। আর সেটা নিয়মিত একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত করতে হবে।

৫১ বছর বয়সী ইলন মূলত দুই বেলা খান
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

৫১ বছর বয়সী ইলন মূলত দুই বেলা খান। সকাল-দুপুরের মাঝখানে আর রাতে। ১৬ ঘণ্টা না খেয়ে থাকেন। আট ঘণ্টার প্রথম ঘণ্টায় সকালের খাওয়া সারেন। আর অষ্টম ঘণ্টায় খান রাতের খাওয়া। এর মধ্যে একবার নানা ফল, সবজি, দই, বাদাম দিয়ে বানানো সালাদ, কফি, জুস, স্মুদি—এ রকম হালকা খাবার খান। প্রতিদিন যা-ই খান না কেন, সব মিলিয়ে ৮০০ ক্যালরির কম খান। ইলনের ওজন ঝরানোর যাত্রার সঙ্গী হয়েছিল একটি অ্যাপ, যার নাম ‘জিরো’।

ইলন এ-ও জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যকর খাবার বা শরীরচর্চা কোনোটিই তাঁর পছন্দ নয়। তবে এখন স্বাস্থ্যকর খাবারও খাচ্ছেন। আর একজন ব্যক্তিগত প্রশিক্ষকও রেখেছেন শরীরচর্চার জন্য। আরও জানিয়েছেন, তিনি ‘দৌড়ানো পছন্দ করেন না’। যে সময়টুকু ট্রেডমিলে কাটান, সেই সময় তিনি টিভিতে খবর দেখেন।