নাক ডাকা কমাবেন যেভাবে

নাক ডাকায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন তাঁর দাম্পত্যসঙ্গীছবি: পেক্সেলস

সর্বসাধারণের কাছে নাক ডাকাটা সাধারণত হাস্যরসের বিষয়। লোক হাসাতে প্রায়ই এর অনুকরণ করা হয়ে থাকে। নাটক-সিনেমাতেও এটা বেশ জনপ্রিয় কৌতুক। প্রায়ই দেখানো হয় কেউ একজন উচ্চশব্দে নাক ডাকছে। তাই দেখে হেসে কুটিকুটি দর্শক। এসব কারণে প্রায়ই আমরা ভুলে যাই, এটা আসলে একটা সমস্যা। যেটা অনেকেরই আছে। কারও কারও তা এত তীব্র যে নিজে ঘুমালে আশপাশে আর কেউ ঘুমাতে পারে না। তাতে পরিবারের লোকজনকে ভালোই ভুগতে হয়। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন তাঁর দাম্পত্যসঙ্গী। তাই জানা থাকা দরকার, কীভাবে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা

নাক ডাকা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কিছু উপকরণ পাওয়া যায়। সঙ্গী ও স্বজনদের ঘুম রক্ষায় আপনি নিজে এগুলো ব্যবহার করতে পারেন বা আপনি যদি ভুক্তভোগী হন, তাহলে এগুলো তাদের দিতে পারেন উপহার; দিতে পারেন নোজ স্ট্রিপ। ঘুমানোর সময় এটা নাকে লাগিয়ে রাখতে হয়। এর গঠন এমন যে দেখে মনে হতে পারে, নাকে শ্বাস-প্রশ্বাস চলাচলে বাধা দিচ্ছে। আসলে এটা ঘুমের মধ্যে নাক দিয়ে বাতাস চলাচল স্বাভাবিক রাখে কিংবা ব্যবহার করতে পারেন ওরাল গার্ড বা মাউথ গার্ড। এটা ঘুমের মধ্যে নিচের চোয়ালকে ঠেলে রাখে। ফলে জিহ্বা গলা থেকে দূরে থাকে। শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা দেয় না।

ঠিকভাবে ঘুমান

আপনি কীভাবে ঘুমাচ্ছেন, নাক ডাকার ক্ষেত্রে সেটাও একটা প্রভাবক। সে জন্য বিছানায় পিঠ দিয়ে ঘুমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। মানে একদম সোজা ওপরের দিকে মুখ করে ঘুমানো। তখন মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে আপনার শরীরের সব নরম টিস্যু পেছনের দিকে সরে যায়। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসও সহজেই চলাচল করতে পারে। কমে যায় নাক ডাকার প্রকোপ। আর আপনি যদি পাশ ফিরে ঘুমান, তাতে ঘটে উল্টো ফল। শরীরের নরম টিস্যুগুলোর যত্রতত্র অবস্থানের কারণে বেড়ে যায় নাক ডাকার পরিমাণ।

ঘুমানোর আগে ধূমপান নয়

সিগারেটের সঙ্গেও নাক ডাকার সম্পর্ক আছে। ধূমপায়ীদের অনেকেরই ঘুমানোর আগে একটা সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস। সিগারেট শরীরের বাতাস যাওয়া-আসার রাস্তাকে খারাপভাবে প্রভাবিত করে। বেশ কিছুক্ষণ রাস্তাটা সংকুচিত হয়ে থাকে। ফলে ঘুমের মধ্যেও বাধাপ্রাপ্ত হয় শ্বাস-প্রশ্বাসের চলাচল। তাই নাক ডাকা নিয়ন্ত্রণে ঘুমানোর আগে ধূমপান একেবারেই বাদ দেওয়া উচিত।

তথ্যসূত্র: সিএনএন